একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ালেখা (অর্থনীতি ১ম পত্র)

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

শেখ আবু সাঈদ আবদুলস্নাহ্‌, প্রভাষক অর্থনীতি বিভাগ, কুমিলস্না অজিত গুহ মহাবিদ্যালয় য়
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ অর্থনীতি ১ম পত্র থেকে উপযোগ নিয়ে আলোচনা করা হলো দ্বিতীয় অধ্যায় নিম্নে একটি কাল্পনিক সূচির মাধ্যমে ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধিটি উপস্থাপন করা হলো- উপরোক্ত সূচিকে চিত্রে রূপ দিলে নিম্নরূপ চিত্র পাওয়া যায়- চিত্রের ব্যাখ্যা : চিত্রে লম্ব অক্ষে উপযোগ এবং ভূমি অক্ষে দ্রব্য ভোগের একক নির্দেশ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঞট একটি মোট উপযোগ রেখা এবং গট একটি প্রান্তিক উপযোগ রেখা। লক্ষ্য করা যায় - অমোট উপযোগ যখন ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ে, প্রান্তিক উপযোগ তখন বাড়তে থাকে। অমোট উপযোগ যখন ক্রমহ্রাসমান হারে বাড়ে, প্রান্তিক উপযোগ তখন কমতে থাকে। অমোট উপযোগ রেখার অনমনীয় বিন্দুতে (ক্রমবর্ধমান এবং ক্রমহ্রাসমান এ দু'য়ের মধ্যবর্তী বিন্দুতে) প্রান্তিক উপযোগ সর্বোচ্চ হয়, যা ধ বিন্দু দ্বারা চিত্রে চিহ্নিত করা হয়েছে। মোট উপযোগ যখন সর্বোচ্চ, প্রান্তিক উপযোগ তখন (০) শূন্য, যা যথাক্রমে ন এবং ন বিন্দু দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। মোট উপযোগ যখন ক্রমশ : হ্রাস পেতে থাকে, প্রান্তিক উপযোগ তখন ঋণাত্মক পর্যায়ে অবস্থান নেয়। উপরোক্ত আলোচনা হতে ক্রমহ্রাসমান প্রান্তিক উপযোগ বিধি সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা লাভ করা যায়। সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন : দ্রব্যের দামের পরিবর্তনের কারণে 'রাদমান শেখ'-এর চাহিদারও পরিবর্তন ঘটে। যা নিম্নের সূচিতে উপস্থাপন করা হলো: (ক) চাহিদা বিধি কী? (খ) মজুদ ও জোগান বলতে কী বোঝায়? (গ) উদ্দীপকে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে চাহিদা রেখা অঙ্কন করো। (ঘ) উদ্দীপকের তথ্যানুযায়ী ৩ টাকা ও ৪ টাকা দাম বিবেচনা করে দ্রব্যের প্রকৃতির ওপর মন্তব্য করো। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: উত্তর (ক) : দাম বাড়লে চাহিদা কমে, দাম কমলে চাহিদা বাড়ে একেই অর্থনীতিতে চাহিদা বিধি বলা হয়। উত্তর (খ) : মজুদ একটি পূর্ণাঙ্গ/বৃহত্তর ধারণা। বিক্রয়যোগ্য একটি দ্রব্যের সমগ্র পরিমাণকে মজুদ বলা হয়। অন্যদিকে, কোনো দ্রব্যের বিক্রয়যোগ্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণকে জোগান বলা হয়। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট দামে বিক্রেতারা কোনো দ্রব্যের যে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিক্রয় করতে প্রস্তুত থাকে তাকে জোগান বলা হয়। মনেকরি, একজন বিক্রেতার কাছে বিক্রয়যোগ্য মোট ১০০ মণ ধান রয়েছে, তন্মধ্যে কোনো একটি নির্দিষ্ট দামে বিক্রেতা ৫০ মণ ধান বিক্রয় করতে ইচ্ছুক। এ ক্ষেত্রে মজুদের পরিমাণ হবে ১০০ মণ ধান। অন্যদিকে, জোগানের পরিমাণ হবে ৫০ মণ ধান।