নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা রসায়ন

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মো. মাসুদ খান, প্রধান শিক্ষক ডেমরা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ডেমরা, ঢাকা
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ রসায়ন বিজ্ঞান থেকে জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর দেওয়া হলো। দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন : ব্যাপন (উরভভঁংরড়হ) বলতে কী বোঝ? উত্তর : কোনো মাধ্যমে কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় বস্তুর স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে পরিব্যাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাপন বলে। প্রশ্ন : নিঃসরণ (ঊভভঁংরড়হ) কী? উত্তর : সরু ছিদ্রপথে কোনো গ্যাসের অণুসমূহের উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে নিঃসরণ বলে। প্রশ্ন : গলনাঙ্ক কী? উত্তর : যে তাপমাত্রায় কোনো কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয় সে তাপমাত্রাকে সেই পদার্থের গলনাঙ্ক বলে। প্রশ্ন : ঈঘএ কী? উত্তর : সিএনজি হলো (পড়সঢ়ৎবংংবফ হধঃঁৎধষ মধং) চাপে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস। প্রশ্ন : স্ফুটনাঙ্ক কী? উত্তর : যে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ গ্যাসীয় অবস্থাপ্রাপ্ত হয় সেই তাপমাত্রাকে পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বলে। প্রশ্ন : ঊর্ধ্বপাতন কী? উত্তর : কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তা সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয় এবং ঠান্ডা করলে সরাসরি কঠিনে রূপান্তরিত হয়, পদার্থের এ অবস্থাকে ঊর্ধ্বপাতন বলে। প্রশ্ন : পাকা কাঁঠাল কিভাবে গন্ধ ছড়ায় ব্যাখ্যা কর? উত্তর : পাকা কাঁঠাল ঘরের একটি কক্ষে রেখে দিলে তার গন্ধ কাঁঠালের ত্বকের ছিদ্রপথে বের হয়ে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। কাঁঠালের ত্বকের ছিদ্রপথে গন্ধ বের হয়ে আসাকে নিঃসরণ বলে। এবং পুরো ঘরে গন্ধ ছড়িয়ে পড়াকে ব্যাপন বলে। প্রশ্ন : হাসপাতালে ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডারে কিভাবে গ্যাস ভরে রাখা হয় ব্যাখ্যা কর? উত্তর : হাসপাতালে ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডারে গ্যাসকে অধিক চাপ প্রয়োগ করে তরলীভূত অবস্থায় সিলিন্ডারে ভরা হয়; যা মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচানোর জন্য ব্যবহার হয়। প্রশ্ন : ঘরবাড়িতে জ্বালানি হিসেবে কোন গ্যাস ব্যবহৃত হয় ব্যাখ্যা কর? উত্তর : প্রাকৃতিক গ্যাস বা মিথেন (ঈঐ৪) গ্যাসকে অধিক চাপ প্রয়োগ করে অর্থাৎ পড়সঢ়ৎবংংবফ হধঃঁৎধষ মধং-কে অধিক চাপে এবং রিফাইনারি থেকে প্রাপ্ত বিউটেন ও প্রোপেন গ্যাস মিশ্রিত করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রশ্ন : মোমের জ্বলন কিভাবে পদার্থের তিন অবস্থা ব্যাখ্যা করে? উত্তর : মোমকে জ্বালানোর পর মোম গলতে শুরু করলে এর মধ্যের সুতাটি তা শোষণ করে নেয় এবং গ্যাসীয় অবস্থাপ্রাপ্ত হয়। কঠিন মোমটি বায়ুর উপস্থিতিতে জ্বলতে থাকলে মোমের বাষ্প হয়। মোমের দহনের ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়। মোম +ঙ২ - ঈড়২(ম) + ঐ২ঙ(ম) + তাপ+আলো