প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি (বাংলা)

কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের কাজ সম্পাদন করা যায়

প্রকাশ | ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

সামছুর রহমান রুমান, শিক্ষক শিক্ষা নিকেতন, চাঁদপুর য়
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলা থেকে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো। ৩। নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেয়া হলো। নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দটি লেখ। শব্দ শব্দার্থ কম্পন - কাঁপন গৌরব - মর্যাদা আজন্ম - সারাজীবন বোধ - জ্ঞান পরাস্ত - পরাজিত ক. বাঙালির বিদ্রোহী মনোভাবে- উঠেছিল শোষকের হৃদয়ে খ. নিজেকে বড় মনে করায় কোনো- নেই। গ. জীবনে প্রতিষ্ঠিত অবস্থানে পৌঁছানোই মানুষের- সাধনা। ঘ. কবিরা কাব্য রচনায় সব- একত্রে কাজে লাগান। ঙ. নেপোলিয়ান দুর্ভাগ্যের কাছে কখনো- হয়নি। ৩। নাম্বার প্রশ্নের উত্তর ক. কম্পন খ. গৌরব গ. আজন্ম ঘ. বোধ ঙ. পরাস্ত। ৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো: ক. বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার পাঁচটি কারণ লেখ। খ. বাংলাদেশের মানুষ কেন মুক্তিযুদ্ধ করেছিল? পাঁচটি বাক্যে লেখ। গ. মুক্তিযুদ্ধে ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম লেখ। ৪। নম্বর প্রশ্নের উত্তর (ক) বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার পাঁচটি কারণ নিচে দেয়া হলো: ১। দেশকে শোষকের হাত থেকে রক্ষা করা। ২। দেশকে পরাধীনতার গস্নানি থেকে মুক্ত করা। ৩। হানাদার বাহিনীর অন্যায় ও অত্যাচার থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করা। ৪। শাসক ও শোষকদের অন্যায় অবিচার থেকে বাংলার মানুষকে মুক্ত করা। ৫। দেশকে স্বাধীন ও শোষণমুক্ত করা। (খ) পাকিস্তান সরকার এ দেশের মানুষের ওপর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে নিপীড়ন চালিয়েছিল বলেই বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকেই পাকিস্তানি শাসকরা এ দেশের মানুষের ওপর বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালিরা তখন প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। এতে পাকিস্তানি শাসকরা বাঙালিদের দমাতে চেষ্টা করে। তারই জবাবে ১৯৭১ সালে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। (গ) মুক্তিযুদ্ধের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ হলেন- ১। সিপাহি হামিদুর রহমান ২। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ৩। ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার রুহুল আমিন ৪। সিপাহি মোস্তফা কামাল ৫। ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ৬। ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ ৭। ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও: কম্পিউটার হলো এক ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র। কম্পিউটারের রয়েছে তথ্য গ্রহণ, তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ ও তথ্য উপস্থাপনের ক্ষমতা। কম্পিউটার নিজে কাজ করতে পারে না। মানুষের তৈরি করা নির্দেশ অনুসারে কাজ করতে পারে। একসময় কম্পিউটার ছিল শুধুমাত্র গণনার যন্ত্র। এখন তা হাজার কাজে পারদর্শী। কম্পিউটার যে কোনো গাণিতিক হিসাব নির্ভুলভাবে সমাধান করে দিতে পারে মুহূর্তেই। আজকাল ব্যাংক-আর্থিক-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টাকা-পয়সার হিসাব খুব সহজেই রাখছে এই কম্পিউটার। বর্তমান সময়ে ছাপার কাজে কম্পিউটার অনেক পরিবর্তন এনেছে। ছবি আঁকা, কার্টুন ও চলচ্চিত্র তৈরিতেও কম্পিউটার অনেক অবদান রাখছে। লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বর্তমানে কম্পিউটারের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কম্পিউটার সারা পৃথিবীকে নিয়ে এসেছে হাতের মুঠোয়। ইন্টারনেটের সাহায্যে মুহূর্তের মধ্যে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে পাঠানো যায় ই-মেইল, তথ্য ও ছবি। টাইপ ও ছাপা, ছবি দেখা ও গান শোনা, বিভিন্ন ধরনের কাজের নিয়ন্ত্রণ, কারখানার উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশযান নিয়ন্ত্রণ, ট্রাফিক সংকেত ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন কাজে কম্পিউটার অনেক অবদান রেখে চলেছে। কম্পিউটার হচ্ছে একেবারে অবাক করা একটি আধুনিক যন্ত্র। ৩। নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেয়া হলো। উপযুক্ত শব্দ দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর। শব্দ শব্দার্থ নির্দিষ্ট - নির্ধারিত ধরন - রকম দ্রম্নত - তাড়াতাড়ি নির্ভুল - সঠিক অভাবনীয় - ভাবা যায় না এমন ক. প্রশ্নের উত্তর - হওয়া উচিত। খ. কম্পিউটার নানা - কাজে ব্যবহৃত হয়। গ. ময়লা-আবর্জনা - স্থানে ফেলতে হয়। ঘ. লোকটা - হেঁটে চোখের আড়ালে চলে গেল। ঙ. প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় আতিক - সাফল্য অর্জন করেছে। ৩। নাম্বার প্রশ্নের উত্তর ক. প্রশ্নের উত্তর নির্ভুল হওয়া উচিত খ. কম্পিউটার নানা ধরনের কাজে ব্যবহৃত হয় গ. ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হয় ঘ. লোকটা দ্রম্নত হেঁটে চোখের আড়ালে চলে গেল ঙ. প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় আতিক অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। ৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ: ক. কম্পিউটার কী? কম্পিউটারের চারটি অংশের নাম লেখ। খ. আধুনিককালে কম্পিউটারের পাঁচটি অবদান উলেস্নখ কর। গ. কম্পিউটারের পাঁচটি কাজ লেখ। ৪। নাম্বার প্রশ্নের উত্তর (ক) কম্পিউটার হলো এক ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র। এটি নির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ করতে পারে। কম্পিউটারের ৪টি অংশ হলো- ক. ইনপুট খ. মেমোরি গ. প্রসেসর ঘ. আউটপুট। (খ) আধুনিককালে কম্পিউটারের পাঁচটি অবদান হলো- ১. ছবি আঁকা। ২. কার্টুন ও চলচ্চিত্র তৈরি। ৩. ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞানসহ নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করা। ৪. মহাকাশ যানের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা। ৫. লেখাপড়া আকর্ষণীয় করার জন্য পাঠ্য বিষয় সংশ্লিষ্ট ছবি এবং ছবির সঙ্গে কথা ও গান সংযোজন করা। (গ) কম্পিউটার হলো এক ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র। এর কতগুলো নির্দিষ্ট কাজ রয়েছে। কম্পিউটারের পাঁচটি কাজ নিচে লেখা হলো- কম্পিউটার দিয়ে দ্রম্নত ও নির্ভুলভাবে বড় বড় অঙ্ক করা যায়। ২. কম্পিউটারে টাইপ করা যায়। ৩. ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের টাকা-পয়সার হিসাব রাখা যায়। ৪. বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। ৫. কম্পিউটারে ছবি দেখা ও গান শোনা যায়।