প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি (বাংলা)

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

সামছুর রহমান রুমান, শিক্ষক শিক্ষা নিকেতন, চাঁদপুর য়
দেখব এবার জগৎটাকে
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলা থেকে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো। প্রদত্ত কবিতাংশটি পড়ে ১১ ক্রমিক প্রশ্নের উত্তর লেখ : থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে দেখব এবার জগৎটাকে কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে। দেশ হতে দেশ দেশান্তরে ছুটছে তারা কেমন করে, কিসের নেশায় কেমন করে মরছে যে বীর লাখে লাখে। ১১। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখ : (ক) 'সংকল্প' কবিতায় কিশোর কী প্রতিজ্ঞা করেছে? (খ) প্রদত্ত কবিতাংশটুকুর মূলভাব লেখ। (গ) কবি বিশ্বজগৎটাকে কীভাবে দেখতে চান? \হ প্রশ্ন : (ক) 'সংকল্প' কবিতায় কিশোর কী প্রতিজ্ঞা করেছে? উত্তর : 'সংকল্প' কবিতায় কিশোর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে- সে বদ্ধ ঘরে বসে থাকবে না। পৃথিবীটাকে সে ঘুরে ঘুরে দেখবে, অসীম বিশ্বকে সে জানবে। প্রশ্ন : (খ) প্রদত্ত কবিতাংশটুকুর মূলভাব লেখ। উত্তর : অসীম বিশ্বকে জানার কৌতূহল মানুষের চিরন্তন। কিশোর কবিরও তাই। সে জানতে চায় বিশ্বের সব কিছুকে। সে আবিষ্কার করতে চায় সব অজানা রহস্য। সে জানতে চায় কেন, কিসের আশায় মানুষ সবখানে ছুটে চলছে মরণকে ভয় না করে। প্রশ্ন : (গ) কবি বিশ্বজগৎটাকে কীভাবে দেখতে চান? উত্তর : কবি বিশ্বজগৎটাকে আপন হাতের মুঠোয় পুরে দেখতে চান। কবি বিশ্বের সবকিছু জানতে চান, আবিষ্কার করতে চান অসীম আকাশের রহস্য। মানুষের ছুটে চলা, ডুবুরির মুক্তা আহরণ আর দুঃসাহসী কোথায় কেন উড়ছে সে সম্পর্কেও তিনি জানতে চান। প্রদত্ত কবিতাংশটি পড়ে ১১ ক্রমিক প্রশ্নের উত্তর লেখ : হাউই চড়ে চায় যেতে কে চন্দ্রলোকের অচিনপুরে; শুনব আমি, ইঙ্গিত কোন মঙ্গল হতে আসছে উড়ে। পাতাল ফেড়ে নামব আমি উঠব আমি আকাশ ফুঁড়ে, বিশ্বজগৎ দেখব আমি আপন হাতের মুঠোয় পুরে। ১১। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর দাও : (ক) চন্দ্রলোকের অচিনপুরে কারা যেতে চায়? (খ) প্রদত্ত কবিতাংশটুকুর মূলভাব লেখ। (গ) কবি আকাশ ফুঁড়ে উঠতে চান কেন? প্রশ্ন : (ক) চন্দ্রলোকের অচিনপুরে কারা যেতে চায়? উত্তর : পৃথিবীর দুঃসাহসী মানুষ চন্দ্রলোকের অচিনপুরে যেতে চায়। সেখানে তারা চাঁদের অজানা রহস্য ভেদ করতে চায়। প্রশ্ন : (খ) প্রদত্ত কবিতাংশটুকুর মূলভাব লেখ। উত্তর : মানুষের মধ্যে আছে এই অসীম বিশ্বকে জানার অদম্য কৌতূহল। কিশোরও জানতে চায় এ বিশ্বের সবকিছু। আকাশ-পাতাল সব জায়গায় সে বিচরণ করতে চায়। এ বিশ্বজগৎ সে আপন হাতের মুঠোয় পুরে দেখতে চায়। প্রশ্ন : (গ) কবি আকাশ ফুঁড়ে উঠতে চান কেন? উত্তর : অসীম বিশ্বকে জানার অদম্য কৌতূহল কবির। কীভাবে মানুষ মহাবিশ্বের রহস্যের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে তা জানতে তিনি আকাশ ফুঁড়ে উঠতে চান। প্রদত্ত কবিতাংশটি পড়ে ১১ ক্রমিক প্রশ্নের উত্তর লেখ : গরু ডাকে হাঁস ডাকে-ডাকে কবুতর গাছে ডাকে শত পাখি সারা দিনভর। মোরগের ডাক শুনি প্রতিদিন ভোরে নিশিরাতে কুকুরের দল ডাকে জোরে। দোয়েল চড়ুই মিলে কিচিরমিচির গান শুনি ঘুঘু আর টুনটুনিটির। ১১। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখ : (ক) কবিতায় কোন কোন পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে? (খ) প্রদত্ত কবিতাংশটুকুর মূলভাব লেখ। (গ) গ্রামের মানুষ কোন পাখির ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠে? প্রশ্ন : (ক) কবিতায় কোন কোন পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে? উত্তর : কবিতায় গরু ও কুকুর এই দুটি পশু এবং হাঁস, মোরগ, কবুতর, দোয়েল, চড়ুই, ঘুঘু ও টুনটুনি প্রভৃতি পাখির কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন : (খ) প্রদত্ত কবিতাংশটুকুর মূলভাব লেখ। উত্তর : পশুপাখির ডাকাডাকিতে গ্রামের প্রকৃতি মুখর থাকে। হাঁস-মুরগি, গুরু-মহিষ ডাকে এবং দোয়েল-চড়ুই প্রভৃতি পাখির গানে মানুষের মন ভরে ওঠে। এখানে শহরের মতো বিরক্তিকর কোলাহল নেই। প্রশ্ন : (গ) গ্রামের মানুষ কোন পাখির ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠে? উত্তর : গ্রামের মানুষ মোরগের ডাক শুনে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। কারণ মোরগ খুব ভোরে ডাকাডাকি শুরু করে দেয়। প্রদত্ত কবিতাংশটি পড়ে ১১ ক্রমিক প্রশ্নের উত্তর লেখ : শহরের পাতি কাক ডাকে ঝাঁকে ঝাঁকে ঘুম দেয়া মুশকিল হর্নের হাঁকে। সিডি চলে, টিভি চলে, বাজে টেলিফোন দরজায় বেল বাজে, কান পেতে শোন। গলিপথে ফেরিঅলা হাঁকে আর হাঁটে ছোটদের হইচই ইশকুল মাঠে। পলস্নীর সেই সুরে ভরে যায় মন শহুরে জীবন জ্বালা-শব্দদূষণ। ১১। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষেপে উত্তর লেখ: (ক) শহরের কোন পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে ডাকে? (খ) প্রদত্ত কবিতাংশটুকুর মূলভাব লেখ। (গ) শব্দদূষণের কারণ কী কী? প্রশ্ন : (ক) শহরের কোন পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে ডাকে? উত্তর : কবি সুকুমার বড়ুয়া 'শব্দদূষণ' কবিতায় গ্রামের মতো পাখির কলকাকলি শহরে নেই। সেখানে পাতি কাক ঝাঁকে ঝাঁকে ডাকে। প্রশ্ন : (খ) প্রদত্ত কবিতাংশটুকুর মূলভাব লেখ। উত্তর : শহরের সব জায়গাতেই শব্দদূষণ লক্ষ্য করা যায়। গাড়ির হর্নের শব্দ, টিভি-সিডির শব্দ, দরজার বেল, ফেরিঅলার ডাক, ছোটদের হইচই সবকিছুতে শব্দদূষণ হচ্ছে। যেখানে গ্রামে হাজারো পাখির সুর মন ভরে যায়, সেখানে শহরে হচ্ছে শব্দদূষণ। প্রশ্ন : (গ) শব্দদূষণের কারণ কী কী? উত্তর : মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে সহজ করার জন্য বিজ্ঞান নানা রকম যন্ত্র আবিষ্কার করেছে। এসব যন্ত্রপাতি নানাভাবে শব্দ সৃষ্টি করে। শব্দদূষণ করে। এ ছাড়া রাস্তায় যানবাহনের হর্নে শব্দদূষণ সৃষ্টি হয়ে থাকে।