প্রশ্নবোধক বাক্য : তুই দাঁড় টানতে পারিস?
উত্তর :
১. আপনি আমায় বিশ্বাস করছেন না।
২. ওরা কি তোমাকে পাঠায়নি?
৩. সে সবকিছুতেই অসন্তুষ্ট।
৪. আমি এই ঘরেই থাকব।
৫. একেবারেই অসময়ে এসে পড়িনি।
৬. একে আমি বাঁচিয়ে রাখব।
৭. আদরের দেমাক করা থেকে বিরত হও।
৮. দুবারের কম ফোন করিনি।
প্রশ্ন : নেতিবাচক বাক্যগুলোকে অস্তিবাচক বাক্যে রূপান্তর কর।
১. দেবার্চনার কথা, কোনো দিন তিনি চিন্তাও করেন নাই।
২. না মহারাজ, তিনি আশ্রমে নাই।
৩. এরূপ রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই।
৪. মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে না।
উত্তর :
১. দেবার্চনার কথা সর্বদা তার চিন্তাবহির্ভূত ছিল।
২. হঁ্যা মহারাজ, তিনি আশ্রমের বাইরে আছেন।
৩. আমার অন্তঃপুর এরূপ রমণী বিবর্জিত।
৪. মানুষটা সমস্ত রাত অনাহারে থাকবে।
প্রশ্ন : নেতিবাচক বাক্যগুলোকে প্রশ্নবোধক বাক্যে রূপান্তর কর।
১. তাদের সে জ্বালা নাই।
২. তাহার ফোর্থ ক্লাসে পড়ার ইতিহাস কখনো শুনি নাই।
৩. অনেক দিন মৃতু্যঞ্জয়ের দেখা নাই।
উত্তর:
১. তাদের সে জ্বালা আছে কী?
২. তাহার ফোর্থ ক্লাসে পড়ার ইতিহাস কখনো শুনিয়াছ কী?
৩. অনেক দিন মৃতু্যঞ্জয়ের দেখা পাওয়া গেছে কী?
প্রশ্ন : অস্তিবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর কর।
১. সে বাপকে যত চিঠি লিখিত আমাকে দেখাইত।
২. দেশের প্রচলিত ধর্মকর্মে তাহার অনাস্থা ছিল।
৩. এটি নিঃসন্দেহ যে কেউ তুলসীগাছটির যত্ন নিচ্ছে।
উত্তর :
১. সে বাপকে যত চিঠি লিখিত আমাকে না দেখাইয়া পারিত না।
২. দেশের প্রচলিত ধর্মকর্মে তাহার আস্থা ছিল না।
৩. এটি সন্দেহ থাকে না যে তুলসীগাছটির যত্ন নিচ্ছে কেউ।
প্রশ্ন : অস্তিবাচক বাক্যকে নেতিবাচক বাক্যে রূপান্তর কর।
১. যখনকার সরকার তখনকার হুকুম পালন করি।
২. আজ ওই গ্রামটাকে শায়েস্তা করতে হবে।
৩. আত্মরক্ষা করতেই যাব।
৪. সপ্তাহে একদিন তাকে থানায় হাজিরা দিতে হয়।
৫. একটি বাঁশ উধাও হয়ে গেছে।
উত্তর :
১. যখনকার সরকার তখনকার হুকুম পালন না করে পারি না।
২. আজ ওই গ্রামটাকে শায়েস্তা না করলেই নয়।
৩. আত্মরক্ষা করতে না গিয়ে পারব না।
৪. সপ্তাহে একদিন তাকে থানায় হাজিরা না দিলে চলে না।
৫. একটি বাঁশ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রশ্ন : জটিল বাক্যগুলোকে সরল বাক্যে রূপান্তর কর।
১. কেহ কহিয়া দিতেছে না তথাপি তপোবন বলিয়া বোধ হইতেছে।
২. যদি কার্যক্ষতি না হয়, তথায় গিয়া অতিথি সৎকার করুন।
৩. ইহাদের যেরূপ, এরূপ রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই।
৪. শরাসনে যে শর সংহতি করিয়াছে, আশু তাহার প্রতিসংহার করুন।
৫. তুমি নবমালিকা, কুসুমকোমল, তথাপি তোমায় আলবাল জলসেচনে নিযুক্ত করিয়াছেন।
উত্তর :
১. কেহ কহিয়া না দিলেও তপোবন বলিয়া বোধ হইতেছে।
২. কার্যক্ষতি না হইলে তথায় গিয়া অতিথি সৎকার করুন।
৩. ইহাদের মতো রূপবতী রমণী আমার অন্তঃপুরে নাই।
৪. শরাসনে সংহত শরের আশু প্রতিসংহার করুন।
৫. তুমি নবমালিকা, কুসুমকোমলা হওয়া সত্ত্বেও তোমায় আলবাল জলসেচনে নিযুক্ত করিয়াছেন।
প্রশ্ন : অর্থ অনুসারে বাক্য কয় প্রকার ও কী কী? আলোচনা কর।
উত্তর : অর্থ অনুসারে বাক্যের প্রকারভেদ : অর্থ অনুসারে বাক্যকে আট ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন :
নির্দেশবাচক বাক্য : কোনো ঘটনা ভাব বা বক্তব্যের তথ্য যে বাক্য প্রকাশ করে, তাকে বলা হয় নির্দেশবাচক বাক্য। এই নির্দেশবাচক বাক্যকে নির্দেশমূলক বাক্য, নির্দেশসূচক বাক্য, নির্দেশাত্মক বাক্য, শুদ্ধ বর্ণনাত্মক বাক্য, বিবৃতিমূলক বাক্য প্রভৃতিও বলা হয়। যেমন সে একটি গল্পের বই পড়ছে।
প্রশ্নবোধক বাক্য : কোনো ঘটনা, ভাব বা বক্তব্য সম্পর্কে যে বাক্যে কোনো প্রশ্ন থাকে, তাকে বলা হয় প্রশ্নবোধক বাক্য। এর অন্য নাম প্রশ্নমূলক বাক্য, প্রশ্নাত্মক বাক্য, জিজ্ঞাসাত্মক বাক্য প্রভৃতি। যেমন : তুই দাঁড় টানতে পারিস?
অনুজ্ঞাসূচক বাক্য : আজ্ঞা, আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, অনুমতি, আমন্ত্রণ, নিষেধ ইত্যাদি যে বাক্যে প্রকাশ পায়, তাকে বলা হয় অনুজ্ঞাসূচক বাক্য। এর অন্য নাম আজ্ঞাসূচক বাক্য, আজ্ঞা বাচক বাক্য, অনুজ্ঞাসূচক বাক্য, অনুজ্ঞাবোধক বাক্য, আদেশসূচক বাক্য প্রভৃতি। যেমন : তোমার ঘোমটা খুলে দাও। তোমার নয়ন তুলে চাও।
প্রার্থনাসূচক বাক্য : যে বাক্যের মাধ্যমে কোনো প্রার্থনা প্রকাশ পায়, তাকে বলা হয় প্রার্থনাসূচক বাক্য। এর অন্য নাম প্রার্থনামূলক বাক্য। যেমন : অন্ধজনে দেহ আলো।
কার্যকারণাত্মক বাক্য : কারণ, নিয়ম, শর্ত, স্বীকৃতি, সংকেত প্রভৃতি যে বাক্যে দ্যোতিত হয়, তাকে বলা হয় কার্যকারণাত্মক বাক্য। এ ধরনের বাক্যের অন্য নাম শর্তসূচক বাক্য, শর্তসাপেক্ষ বাক্য প্রভৃতি। যেমন : মন দিয়ে না পড়লে পাস করা যায় না।
সন্দেহবোধক বাক্য : নির্দেশবাচক বাক্যে বক্তব্য বিষয় সম্পর্কে সন্দেহ, সংশয়, সম্ভাবনা, অনুমান, অনিশ্চয়তা ইত্যাদির ভাব থাকলে তাকে বলা হয় সন্দেহবোধক বাক্য। এর অন্য নাম সন্দেহাত্মক বাক্য, সন্দেহ প্রকাশক বাক্য, সন্দেহদ্যোতক বাক্য, সংশয়সূচক বাক্য প্রভৃতি। যেমন : হয়তো সে চাকরিটি পাবে।