সাক্ষাৎকার

নজরুল সংগীত গাওয়া আমার কাছে সৌভাগ্যের

এ প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী জিনিয়া জাফরিন লুইপা। নজরুল জয়ন্তী ও ঈদ উপলক্ষে সম্প্রতি তার দুটি গান প্রকাশিত হয়েছে। গান দুটি প্রচার হওয়ার পরপরই দর্শক প্রশংসায় ভাসছেন এ গায়িকা। কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ৩০ মে ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জিনিয়া জাফরিন লুইপা
ঈদ উপহার... 'উইন্ড অব চেঞ্জ'র আয়োজনে আবারও নজরুল সংগীত গাইতে পারা আমার কাছে সৌভাগ্যের। ঈদের সবচেয়ে বড় উপহারও বলা যেতে পারে। এরজন্য আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই কৌশিক হোসেন তাপস ভাই ও ফারজানা মুন্নী ভাবীকে। কারণ গান বাংলা চ্যানেলে তারা বাংলা গান নিয়ে নিয়মিত চমৎকার চমৎকার সব আয়োজন করে থাকেন। এটি আমাদের দেশীয় গানকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পরিচিত করে তোলছে। আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি... নজরুল জয়ন্তীর মাসে 'পরদেশী মেঘ' গানটিই আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি। গানটি যখন রেকর্ড করা হয় তখন আমার একমাত্র সন্তান পায়রা'র বয়স পাঁচ মাস। অবর্ণনীয় ভালোলাগা, ভালোবাসা নিয়ে গানটি গেয়েছিলাম। গানটি প্রকাশিত হওয়ার পর দেশি ও বিদেশি অনেক দর্শক এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। দর্শকের কাছে ভালো লাগলেই আমার কষ্ট সার্থক। আমি সবসময় আমার দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে শর্তহীন ভালোবাসা ও সাপোর্ট না করলে এ পর্যন্ত আসতে পারতাম না। তাড়াহুড়ো নয়... মৌলিক গানের সত্যিই অভাব নেই। তবে ঠিকমতো ডেলিভারি না দেওয়ার কারণে অনেক ভালো গান ভালো হচ্ছে না। অনেক সময় তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে ভালো গান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সময় নিয়ে যত্ন করে একটি গান প্রকাশ করা উচিত। পৃষ্ঠপোষকতা নেই... আমার কাছে মনে হয় এ সময়ে গানে পৃষ্ঠপোষকতার অনেক অভাব। পৃষ্ঠপোষকতা শুধু আর্থিক সমর্থনই নয়। দিকনির্দেশনাও একটি বড় পৃষ্ঠপোষকতা। দিকনির্দেশনা, পরামর্শ একজন শিল্পীর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শের অভাবেও অনেক মেধাবীরা পিছিয়ে যায়। সমন্বয়হীনতার ঘাটতি... অভিযোগটি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। সত্যিই আমাদের মাঝে সমন্বয়তার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। আগে একটি গানকে কেন্দ্র করে গীতিকার, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী ও অন্যদের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক গড়ে উঠত। সবার মধ্যে যোগাযোগ ভালো ছিল। কিন্তু এখন একটি গান মেইলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রযুক্তির কারণে অনেক কিছু সহজ হচ্ছে আবার আবেগও কমে যাচ্ছে।