সাক্ষাৎকার

আরও একমাস শুটিং করব না আমি

আগামীকাল ১ জুন থেকে শর্তসাপেক্ষ শুটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেলিভিশন নাটকের আন্তঃসংগঠনগুলো। বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক ও ইতিবাচক মন্তব্যের পাশাপাশি যুক্তি-পাল্টা যুক্তিও চলছে তারকা ও নির্মাতামহলে। করোনা পরিস্থিতি, শুটিং ও নাট্যাঙ্গনের বিভিন্ন বিষয়ে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলেছেন- রায়হান রহমান

প্রকাশ | ৩১ মে ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
চঞ্চল চৌধুরী
করোনার মধ্যেই শুটিংয়ের সিদ্ধান্ত কতটা বাস্তবসম্মত হয়েছে? সংগঠনে অনেক লোক থাকে। সবাইকে তো একটি সিদ্ধান্ত দিয়ে খুশি করানো যাবে না। কেউ কেউ অখুশি হবেই। অন্য কারও কথা বলতে পারছি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে আরও একমাস শুটিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে সংগঠনগুলো শুটিং করার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার পক্ষে বা বিপক্ষে আপাতত কিছুই বলতে চাচ্ছি না। আপনি নিজে কবে থেকে শুটিং শুরু করবেন? করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতু্যর সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই যাচ্ছে। এই মুহূর্তে শুটিং করা সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। পেশার দায়িত্ব অনেকেই নিতে পারবে; কিন্তু আমার জীবনের দায়িত্ব কে নেবে? শুটিং করতে গিয়ে আমি আক্রান্ত হলে আমার পরিবারও তো ঝুঁকির মধ্যে থাকবে। সবদিক চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করলে শুটিং করব। শুটিং না হলে স্বল্প আয়ের শিল্পীদের কি হবে? গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন। আমরা যারা একটু বেশি সম্মানী নিয়ে কাজ করি, তারা হয়তো ছয় মাস কাজ না করেও টিকে থাকতে পারব। কিন্তু স্বল্প আয়ের শিল্পীদের বেলায় এই কথাটি প্রযোজ্য নয়। সংগঠন হয়তো সেসব দিক বিবেচনা করেই শর্তসাপেক্ষ শুটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন বিষয় হচ্ছে, যারা ঝুঁকি মেনে নিয়ে কাজ করতে পারবে, তারা করুক। এমনিতেই শুটিং বাড়িগুলোর যা অবস্থা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের পাশাপাশি খাবার-দাবারের মিস ম্যানেজমেন্ট রয়েছে; সেখানে এই করোনার মধ্যে শুটিং করতে যাওয়ার ঝুঁকিটা বেশিই হবে। করোনায় সময় কাটছে কীভাবে? অনাকাঙ্ক্ষিত এ অবসরে বাসায়ই থাকছি। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, এটা আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আর বাসায় থাকতেও কষ্ট হচ্ছে না। পরিবারকে সময় দিচ্ছি, গল্প করছি, ছেলের সঙ্গে খেলাধুলা করছি। টিভিতে বিভিন্ন খবরাখবর দেখছি। মাঝেমধ্যে সিনেমাও দেখছি। সময়টাকে নিজের মতো করে ব্যবহার করছি। শুটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো তর্ক-বির্তক চলছে। পুরো বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? করোনাভাইরাস কেবল মানুষের জীবনের জন্য হুমকি নয়- এর ফলে প্রতিটি খাতই হুমকির মুখে পড়বে। বিশেষ করে আমাদের মতো গরিব দেশে অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের একটি চাপ আসবে। আমি নাটকের মানুষ, নাটকের কথাই বলি। মার্চ মাসের ১৯ তারিখ থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত কোনো শুটিং হয়নি। নাট্যাঙ্গনের জন্য এটা বিশাল ক্ষতি। সাধারণত এই সময়টাতে সবচেয়ে বেশি নাটক নির্মাণ হয়ে থাকে। আটকে থাকা কাজের জন্য নতুন প্রজেক্ট শুরু হতেও সময় লাগবে। স্বাভাবিকভাবেই এর রেশ নাটক সংশ্লিষ্ট সবার উপরে পড়বে।