সা ক্ষা ৎ কা র

'প্রথমবার মায়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছি'

অভিনেত্রী মুমতাহিনা টয়া। ছোট পর্দার অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী। এককথায় খন্ড নাটকের অপরিহার্য তারকা। তাকে দেখা গেছে বড় পর্দায়ও। করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদ বিবর্ণ হলেও টয়ার কেটেছে বিশেষভাবে। বিয়ের পর প্রথম ঈদ বলে কথা! এসব নিয়েই কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ০১ জুন ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মুমতাহিনা টয়া
বিকল্প উপায় কাজ... ঈদের আগে বেশ কয়েকটি কাজ বিকল্প উপায় করতে হয়েছে। বাসা থেকেই কয়েকটি নাটক ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করেছি। এরমধ্যে 'লকডাউন' ও 'দূরে তবু কাছাকাছি' নাটক দুটির কাজ সত্যিকার অর্থেই এক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। লকডাউন নাটকটি আমার জীবনের একটি ভালোলাগার এবং ভালোবাসার কাজ হয়ে থাকবে। কারণ এতে প্রথমবারের মতো আমি মায়ের সঙ্গে স্ক্রীন শেয়ার করেছি। আমেজ পাইনি... বিয়ের পর প্রথম ঈদ। স্বাভাবিকভাবেই অন্যরকম একটি অনুভূতি হওয়ার কথা। তবে এবারের ঈদকে কোনোভাবেই খুশির ঈদ বলার উপায় নেই। তারপরেও চেষ্টা করেছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে হাসি-খুশিভাবেই ঈদ করতে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে, ঈদের দিন আমার শাশুড়ি মজাদার সব খাবার রান্না করে আমাদের বাসায় নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের বাসা থেকে শাওনের বাসা দশ মিনিট দূরত্বের। তবে অন্যবারের মতো ঈদের আমেজ পাইনি। কোথাও ঘুরতে যাইনি। ঈদে নতুন কাপড় নেয়া হয়নি। মন ভরে ঘুমাচ্ছি... যখন কাজে থাকতাম, দেখা যেত রাত ১২টা পর্যন্ত ব্যস্তই আছি। ফলে বিশ্রাম করার সুযোগ থাকতো না। আর এখন পরিস্থিতির কারণে একদমই সময় কাটছে না। সারাদিন বাসায় থেকে আমার কাছে মনে হচ্ছে, জীবনের কিছু একটা নেই। বিশেষ করে শুটিং খুব মিস করছি। এমনিতে বাসায় বই পড়ছি, সিনেমা দেখছি। পরিবারের মানুষগুলোর সঙ্গে মন খুলে আড্ডা দিচ্ছি। অনলাইনে খবর নিচ্ছি... অনলাইনে সময় দিচ্ছি। কে কোথায় কি করছে, সেগুলো খবর নিচ্ছি। বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে আড্ডা দিচ্ছি। তবে একই কাজ এতদিন ধরে করতে করতে, আমি কিছুটা হাপিয়ে উঠেছি। তাই যখন তখন ঘুমিয়ে পড়ছি। মনে হচ্ছে, অনেকদিনের জমানো ঘুম একসঙ্গে হচ্ছে। আশা করছি দ্রম্নতই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই শুটিংয়ে ফিরব।