সাক্ষাৎকার

সরকারি অনুদান ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়

চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই ছুটে চলেছেন অসহায় শিল্পীদের দ্বারে দ্বারে। পৌঁছে দিচ্ছেন সাহায্য। সমিতি থেকে অসহায় শিল্পীদের ঈদ বোনাস দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি। সমসাময়িক আরও বেশকিছু বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন রায়হান রহমান

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জায়েদ খান
সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে... আগেই কথা দিয়েছিলাম, যতদিন করোনা সংকট মিটবে না ততদিনই অসহায় শিল্পীদের পাশে থাকবে শিল্পী সমিতি। সমিতি তো শিল্পীদের জন্যই। তাই সমিতির পক্ষ থেকে সহযোগিতার হাত কখনো গুটিয়ে নেওয়া হবে না। অনেক ক্ষতি হয়েছে... একটি বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার; এতোদিন শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে যত ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে, সবই ব্যক্তি উদ্যোগে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে চলচ্চিত্রে যে বিরাট অঙ্কের ক্ষতি হয়েছে, সেটা ব্যক্তি উদ্যোগে সমাধান করা যাবে না। এর জন্য দরকার সরকারি অনুদান। সরকারি অনুদান ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। গত দুই মাসে একটাও শুটিং হয়নি। কোনো সিনেমা হল চলেনি। প্রযোজকরা লগ্নি করতে পারেনি। সবাই লোকসানের মুখে পড়েছে। শিল্পটা যেহেতু বড়, ক্ষতিটাও বড়। তাই আমাদের কারও একার পক্ষে এটিকে টেনে হিঁচড়ে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। জাতীয় সংসদে সামনেই বাজেট ঘোষণা হবে। সেখানে চলচ্চিত্রের জন্য প্রণোদনা থাকা উচিত। আমরা চাইব সরকার বাণিজ্যিক ছবিতে অনুদান বাড়িয়ে দিক। শিল্পীরা ব্যস্ত হয়ে উঠলে কারও কাছে শিল্পীদের জন্য হাত পাততে হবে না। এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি... প্রতি ইউনিটে কম করে হলেও একশ লোক কাজ করে। বিশেষ করে ফাইট ও নাচের জন্য অনেক শিল্পীর দরকার। চাইলেও শুটিংয়ে লোক সমাগম এড়ানো যাবে না। তাই লকডাউন শিথিল হলেও কবে থেকে শুটিং শুরু হবে সে বিষয়ে আপতত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে শিল্পীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তবে ক্যামেরার পেছনে যারা কাজ করেন তাদের জন্য আলাদা সংগঠন আছে। সবাই মিলে দ্রম্নতই একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আপাতত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। কার্যকর ছিল না... শিল্পী সমিতি আগে এতো বেশি কার্যকর ছিল না। বেশি না, আজ থেকে পাঁচ বছর আগেও সমিতিতে এতেটা কাজ হতো না। আমি যদি সমিতিতে সময় না দিতাম, তাহলে হয়তো চলচ্চিত্রই হারিয়ে যেতো। যদিও এটা করতে গিয়ে আমার ক্যারিয়ারের ছবির সংখ্যা কমে গিয়েছে। তবে এ নিয়ে আমার কোনো দুঃখ নেই।