শর্তসাপেক্ষে কাল থেকে শুরু চলচ্চিত্রের শুটিং

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২০, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
ফের শুরু হচ্ছে সিয়াম-পরীমনি অভিনীত 'অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন' ছবির শুটিং
করোনার মধ্যেই এক এক করে খুলে দেওয়া হচ্ছে অফিস আদালাতসহ অনেক কিছু। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চালু হয়েছে গণপরিবহণও। শিথিল করা হয়েছে লকডাউন। শুধু তাই নয়, আড়াই মাস পর শর্তসাপেক্ষে অনুমোদন মিলেছে ছোটপর্দার নাটক টেলিফিল্ম ও বিজ্ঞাপনের কাজ। বাদ ছিল চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের বেশ কিছুদিন ধরেই চলচ্চিত্রের শুটিং নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা চলছিল। বিশেষ করে নাটকের শুটিং শুরু হওয়ায় এক ধরনের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল চলচ্চিত্র পরিবারের মানুষদের মাঝে। অবশেষে সবার মনে স্বস্তি ফিরে আনতে আগামীকাল থেকে শুটিং করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক সমিতি। তবে অনুমোদনের পাশাপাশি জুড়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি শর্ত। এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর সরব হচ্ছে সিনেমাপাড়া। শুটিং শুরুর খবরে এরইমধ্যে ঢাকার বাইরে থাকা অনেক অভিনয় শিল্পী ও কলাকুশলীরা ঢাকায় ফিরে আসছেন। ১৯ মার্চ থেকে চলচ্চিত্রপাড়া নীরব। নেই শিল্পী আর কলাকুশলীদের আনাগোনা। বন্ধ রয়েছে বিএফডিসিতে সব ধরনের শুটিং। আড়াই মাস পর আবারও শুটিংয়ে ফিরতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রের মানুষ। বিষয়টি নিয়ে প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু জানান, দরিদ্র কলাকুশলী ও চলচ্চিত্র শিল্পের কথা বিবেচনা করে আগামী ৫ জুন থেকে শুটিং শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন, চলচ্চিত্রের আয়োজনটি হয় বেশ বড় পরিসরে, তাই এখানে সামাজিক দূরত্ব মানা কঠিন। এ কারণে শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার আগে সবাইকে করোনা টেস্ট করার অনুরোধ করেন খসরু। মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির বিএফডিসির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে খসরু ছাড়া উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমসহ অনেকে। খোরশেদ আলম খসরু বলেন, 'চলচ্চিত্র অনেক বড় মাধ্যম হওয়ায় এখানে অনেক মানুষের সম্মিলন ঘটে। এখানে সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারগুলো পুরোপুরি মানা কঠিন। কারণ এখানে মারামারির দৃশ্য কিংবা নাচ-গানের দৃশ্য, নায়ক-নায়িকার রোমান্টিক দৃশ্য থাকে। এগুলোতে শরীর স্পর্শ হয়। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুটিং ইউনিটের লোক যতটুকু সংক্ষিপ্ত করে কাজ করা যায়। একই সঙ্গে প্রধান প্রধান শিল্পী ও টেকনিশিয়ানদের করোনা টেস্ট করিয়ে তারপর শুটিং করার অনুরোধ করছি। এ রকম কিছু নির্দেশনা দিয়েছি আমরা। শিগগিরই বিস্তারিত নীতিমালা সবার কাছে পৌঁছানো হবে।' তিনি আরও জানান, যেহেতু ১৯ মার্চ থেকে সাংগঠনিকভাবে শুটিং বন্ধ রেখেছি, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ জুন থেকে এটি তুলে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, 'এটা কোনো নীতিমালা নয়, আবার উদ্বুদ্ধ করাও নয়। আমরা চাই যারাই শুটিং করুক না কেন, তারা যেন স্বাস্থ্য বিধি মেনে করেন।' এদিকে সংগঠনগুলোর ঘোষণার আগেই শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন বাপ্পি চৌধুরী ও অধরা খান। এ দু'জনকে নিয়ে সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড নির্মাণ করছেন 'কোভিড-১৯ ইন বাংলাদেশ' নামের ছবিটি। ২৭ মে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। যদিও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান, পরিচালক সমিতির পরিচালক গুলজার। এর বাইরে, এখনো কোনো সিনেমার শুটিংয়ের খবর শোনা যায়নি।