সা ক্ষা ৎ কা র

স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শুটিং করা উচিত

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক। নির্মাতা জাকির হোসেনের হাত ধরে ঢালিউডে তার আবির্ভাব। 'জ্বি হুজুর' দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও 'পোড়া মন' চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। তবে করোনাভাইরাসের জেরে বর্তমানে তিনি পরিবারসহ গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। মুঠোফোনে তার সঙ্গে কথা বলেছেন রায়হান রহমান।

প্রকাশ | ০৪ জুন ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সাইমন সাদিক
অনেকেই পরিশ্রম করে... লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় শুটিংয়ের নিষেধাজ্ঞাও উঠে যাচ্ছে। আমার মতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করা উচিত। কারণ এই পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক মানুষ। অনেকের জীবিকা নির্বাহ হয় এই শুটিং করা থেকেই। মানুষ হয়তো আমাদের পর্দায় দেখে অভ্যস্ত। তবে আমাদের পর্দায় দেখানোর জন্য সেটে অনেকেই পরিশ্রম করে। দীর্ঘদিন শুটিং বন্ধ থাকায় তাদের জীবনধারণ কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই হয়ত সমিতি শুটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলচ্চিত্রাঙ্গন প্রায় অচল... এমনিতেই চলচ্চিত্রকে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনা সংকট। সব মিলিয়ে টানা দুই মাস ধরে চলচ্চিত্রাঙ্গন প্রায় অচল। বিশেষ করে একসঙ্গে এতোগুলো হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড় ধরনের প্রভাব তো পড়বেই। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে চলচ্চিত্র শিল্পের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে মানুষকে হলমুখী করা। এমনিতেই মানুষ হলমুখী না। তার ওপর করোনা এমন একটি ভাইরাস, যা দ্রম্নত ছড়ায়। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ আগের চেয়ে হলে কম যেতে চাইবে। দর্শকবিহীন সিনেমা হল মোকাবিলা করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে আমি মনে করি। স্থায়ী নয়... কোনো দুর্যোগই স্থায়ী নয়। একটা না একটা উপায় আমরা পাবই। ধৈর্য ও মেধা দিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। চলচ্চিত্রে এমনিতেই অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা ছবি নির্মাণ করতে পারছি না। আমাদের বিশ্বমানের বাজেট ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট নেই। আসলে এতো প্রতিবন্ধকতার মধ্যে শিল্পীদের কাজ করা মানায় না। তারপরও সবাই মিলে চেষ্টা করছি চলচ্চিত্র শিল্পটাকে সামনে এগিয়ে নিতে। আমি আশাবাদী খুব শিগগিরই চলচ্চিত্রের সু-দিন ফিরবে। দরকার প্রচারণা... গেল কয়েক বছরে সংখ্যায় অল্প হলেও ভালো গল্পে ছবি কিন্তু নির্মাণ হওয়া শুরু হয়েছিল। তবে ভালো ছবি নির্মাণ করেই কিন্তু কাজ শেষ না। সেসব দর্শকদের জানাতে হবে। দরকার ভরপুর প্রচারণা। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয় সব প্রযোজকেরই উচিত ছবি নির্মাণের জন্যে টাকা লগ্নির পাশাপাশি নির্মিত ছবির প্রচারণাতেও মোটা অঙ্কের পয়সা খরচ করা। তাতে সুবিধা আছে।