সাক্ষাৎকার

শিগগিরই কোরবানি ঈদের কাজ শুরু করব

আশনা হাবিব ভাবনা। ছোট পর্দার ব্যস্ত অভিনেত্রী। নিত্যনতুন কাজের মধ্য দিয়ে বারবার তিনি আলোচনায় এসেছেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে ঘরবন্দি আছেন। সমসাময়িক নানা বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- রায়হান রহমান

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আশনা হাবিব ভাবনা
মাসে পনেরো-ষোলদিন কাজ... করোনার মধ্যেই একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। 'একা' শিরোনামের এই চলচ্চিত্রটির গল্প আমার লেখা। মুঠোফোনে এটি নির্মাণ করেছেন অনিমেষ আইচ। তাছাড়া আউটডোরের কাজ শুরু করব। এমনিতেও মাসের তিরিশ দিন শুটিং করি না। দেখা যায় পনেরো-ষোলদিন কাজ থাকে। সে হিসাবে, বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। আমি যে এলাকায় থাকছি, সেটা রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আমাকে ভেবে-চিন্তে কাজে নামতে হবে। কাজের বিষয়ে কথা হয়েছে... কাজের বিষয়ে ইতোমধ্যে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কয়েকটি গল্প আমার পছন্দ হয়েছে। হয়তো শিগগিরই কোরবানি ঈদের কাজ শুরু করব। তবে এখনো দিনক্ষণ সেভাবে ঠিক করিনি। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা। শিল্পীদের কাজের সংখ্যা কমবে... করোনা দুর্যোগ আমাদের শুধুমাত্র এখানে নয়, সমস্যাটা পুরো বিশ্বের। মহামারি পরবর্তী সময়ে একটা প্রভাব থাকবেই। বিশেষ করে আউটডোর শুটিং নিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হবে। কদিন আগেও আমরা যখন-তখন শুটিংয়ের জন্য হুটহাট ঢাকার বাইরে চলে যেতাম, দেশের বাইরে চলে যেতাম। এখন চাইলেও করা যাবে না। সবাই চাইবে সীমিত পরিসরে শিল্পী নিয়ে কাজ করতে। এর ফলে শিল্পীদের কাজের সংখ্যাও কমবে। গল্পে পরিবর্তন আনতে হবে। লোকসমাগম হয় বা বেশি শিল্পীনির্ভর দৃশ্যগুলো করা যাবে না। সব মিলিয়ে শোবিজ অঙ্গনের উপর বড়সড় ধকল যাবে। তবে দক্ষতা ও ধৈর্যের মধ্য দিয়ে এগুলো মোকাবিলা করতে হবে। সবার রুটি-রুজির বিষয় জড়িত... আমরা হয়তো আরও কিছুদিন শুটিং না করলেও সমস্যা নেই। তবে স্বল্প আয়ের শিল্পী ও কলাকুশলীদের কাছে কাজ শুরু হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। কারণ শুটিং না হলে তাদের আয়-রোজগার হবে না। একটা শুটিংয়ে তো শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীরাই থাকে না। এদের নেপথ্যে মেকআপ ম্যান থেকে শুরু করে লাইটম্যান, টেকনিশিয়ান, সহকারী পরিচালকসহ আরও অনেকে থাকে। সবার রুটি-রুজি কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত। সুতরাং বলাই বাহুল্য, তাদের কাছে শুটিং শুরু হওয়া কতটা জরুরি।