সাক্ষাৎকার

সতর্ক থাকাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে

কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। দেশের আপামর সংগীতপ্রেমীদের কাছে এক নামে পরিচিত। একুশে পদকসহ পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। নিজস্ব গায়কির কারণে তিন প্রজন্ম ধরে শ্রোতাপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আজ এই জীবন্ত কিংবদন্তির জন্মদিন। জন্মদিনের আয়োজন, করোনাকাল ও চলমান সংগীতাঙ্গনের নানা বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সৈয়দ আব্দুল হাদী
আগ্রহ ছিল না... কখনোই জন্মদিন নিয়ে বিশেষভাবে উদ্‌যাপনের আগ্রহ আমার ছিল না। এখনো নেই। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটে, এটুকুই আমার ভালোলাগা। আর আশি বছরে পা দিয়েছি এটা কোনো বিশেষ কিছু নয়। মানুষ বাঁচলে চলমান প্রক্রিয়ায় তার বয়স বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। এটাকে বিশেষায়িত করার কোনোকিছু নেই। সৃষ্টিকর্তা সুস্থ রেখেছেন, ভালো রেখেছেন, আলহামদুলিস্নাহ।' নতুন গান... বাবা দিবসে আমার একটি গান প্রকাশিত হয়েছে। গানটি গাইতে পেরে সত্যিকার অর্থেই তৃপ্তি পেয়েছি। ধ্রম্নব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হওয়া 'বাবা ছেলের টান' গানটি দর্শকের মাঝেও আলোড়ন তৈরি করেছে।। গানটি লিখেছেন সুহৃদ সুফিয়াসন। সুর করেছেন কিশোর দাস। সংগীত আয়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ ও কিশোর দাস। গানটিতে আমার সঙ্গে গেয়েছেন আসিফ আকবর। করোনাকালে অনুরোধ... করোনার মধ্যেও অনেকে গান গাওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু আমি সম্মানের সহিত তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি। গতকালও একজন পরিচালক আমাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি সিনেমার গানে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য। তাতেও রাজি হইনি। আমার কাছে এই বর্তমানে সতর্ক থাকাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। অনেক চড়াই-উতরাই... দীর্ঘদিনের পথ চলায় অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই গানের সঙ্গে জড়িত। ১৯৬০ সাল থেকে চলচ্চিত্রে গান গাইছি। বাংলা ও উর্দু ভাষাতেও গেয়েছি। শুরুর দিকে উর্দু চলচ্চিত্রের জন্যই গাইতে হয়েছে। পরবর্তীতে 'ডাক বাবু' দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের গান গাওয়ার সুযোগ হয়। গান গাওয়ার পাশাপাশি গানের কথাও লিখেছি। চলচ্চিত্রের গানেও লিখেছি। আসলে গানের বাইরে আমার অন্য কোনো চিন্তা ছিল না। গানেই আমার সব। গানই আমার প্রাণ। আর এজন্যই বোধহয় মানুষ আমাকে ভালোবাসে। এই বয়সে এসেও মানুষের ভালোবাসা দেখে আমি রীতিমতো চমকে যাই। তাদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ।