শ্রীলেখার আক্রমণের শিকার মিমি-নুসরাত

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
মিমি চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহান। টলিউডের এ সময়ের আলোচিত দুই তারকা। শুধু কি তাই? দুজনই সংসদ সদস্য। যাদবপুরের তৃণমূল সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী আর বসিরহাটের তৃণমূল সংসদ সদস্য নুসরাত জাহান। আরও একটি পরিচয় হচ্ছে, দুজনই দুজনের মধ্যে 'জানের জান' বন্ধুত্বের সম্পর্ক। একই পরিবারের সদস্যও বলা চলে। অবসর পেলেই একসঙ্গে সময় কাটান তারা। কিন্তু এই দুই বান্ধবীকে বড় ধরনের এক খোঁচা দিয়ে আবারও বোমা ফাটালেন বিতর্কিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। সম্প্রতি টলিউডের স্বজনপোষণ নিয়ে মুখ খোলেন এ অভিনেত্রী। যাকে নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও সমালোচনার ঝড় চলে সবসময়। সেই শ্রীলেখাই আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় বোমা ফাটালেন। তবে এবার স্বজনপোষণের অভিযোগ নয়। চিনা অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে দুই তারকা সংসদ সদস্যকে বিঁধলেন অভিনেত্রী। সীমান্ত উত্তেজনার আবহে সোমবারই চিনের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। ডিজিটাল স্ট্রাইকের পথে হেঁটে টিকটক, শেয়ারইট, ইউসি ব্রাউজার, লাইকি, হেলো, ক্লাব ফ্যাক্টরি, বিউটি পস্নাস, জেন্ডার, ক্যাম স্ক্যানারসহ মোট ৫৯টি জনপ্রিয় অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, চিনের ওই অ্যাপগুলো সার্বভৌমত্ব, দেশের সুরক্ষার জন্য ক্ষতিকারক। সে কারণেই তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারায় অ্যাপগুলো নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। এদিকে, লাইক, কমেন্টের মোহে জেনওয়াই টিকটকের নেশায় বুঁদ। তারকারাও ওই অ্যাপ ব্যবহার করতেন যথেষ্ট। অভিনেত্রী তথা বসিরহাটের সংসদ সদস্য নুসরাত জাহানও টিকটকে মজে থাকেন অনেকটা সময়। লকডাউনে তার টিকটক ভিডিও নিয়ে সমালোচনার ঝড়ও কম ওঠেনি। এবার টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নুসরাত ও মিমিকে আক্রমণ করে শ্রীলেখা তার ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, 'টিকটক বন্ধ! যাদবপুর এবং বসিরহাটের মানুষ তাদের সংসদ সদস্যদের তাহলে কোথায় দেখতে পাবেন?' এখানেই শেষ নয়। অভিনেত্রী আরও লেখেন, 'আহারে শুনে আমার চোখে জল চলে এলো।' শ্রীলেখার এই পোস্ট সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। কেউ কেউ তার কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। তবে মিমি এবং নুসরাত অনুরাগীরা শ্রীলেখার পোস্টে যে বেশ বিরক্ত, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যদিও এ বিষয়ে মিমি কিংবা নুসরাত কারও কোনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।