নাটকের শুটিংয়ে নতুন আতঙ্ক

এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ঘটে গেল সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। করোনা টেস্টে সবার নেগেটিভ ফলাফল আসায় দলবল নিয়ে কাজে নামেন নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান। নাটকের নাম 'প্রাণ প্রিয়'। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করছিলেন মেহজাবীন চৌধুরী ও জিয়াউল ফারুক অপূর্ব...

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
আতঙ্ক নিয়েই চলছে শুটিং
শর্তসাপেক্ষ শুটিং শুরু করার পর নাট্যাঙ্গন স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও বাদ সেধেছে নতুন আতঙ্ক। করোনা টেস্টে নেগেটিভ ফলাফল নিয়ে শুটিং করতে এসেও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখতে হচ্ছে শুটিং। নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যেতে হচ্ছে অভিনয়শিল্পী থেকে পরিচালক ও কলাকুশলীদের। ফলে ঈদের আগ মুহূর্তে যারা শুটিংয়ে ফেরার কথা দিয়েছিলেন, তারাও গড়িমসি করছেন। কেউ আবার কাজে ফিরেও বন্ধ করে দিয়েছেন শুটিং। একদিকে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের চাপ, অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের ভয়ে শিল্পীদের কাজে না ফিরতে চাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জটিলতা। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ঘটে গেল সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। করোনা টেস্টে সবার নেগেটিভ ফলাফল আসায় দলবল নিয়ে কাজে নামেন নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান। নাটকের নাম 'প্রাণ প্রিয়'। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করছিলেন মেহজাবীন চৌধুরী ও জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। কিন্তু শুটিংয়ে একদিন না যেতেই দুইজন কলাকুশলী অসুস্থ বোধ করলে ফের করোনা টেস্ট করান এবং পজিটিভ রেজাল্ট আসে। সঙ্গে সঙ্গে শুটিং বন্ধ করে সবাইকে কোয়ারেন্টিনে পাঠান পরিচালক। ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে এলে এ নিয়ে রীতিমতো হইচই বেধে যায়। অনেকেই এরপর সংক্রমণের ভয়ে কাজে যেতে চাইছেন না বলেও শোনা গিয়েছে। একই কারণে শুটিং করবেন না বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী অর্পণা ঘোষ। তিনিও শুটিং করার একদিন পর হাউজগুলোর অবস্থা মনঃপূত না হওয়ায় সরে দাঁড়িয়েছেন। তার আগে তানজিন তিশাসহ অনেকেই একই কারণে নাটকের শুটিং থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আবার বাধ্য হয়ে যারা কাজ করছেন, তারাও কাজের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট নন বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী অর্ষা রহমান। তিনি বলেন 'স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনেই কাজ করছি। তবে সেটের সবাই যে মানছে সেটা বলার উপায় নেই। ফলে ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে।' অর্ষার সঙ্গে অনেকটা গলা মিলেয়েছেন আরেক অভিনেতা সাজু খাদেম। তিনি বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মানা নিয়েই আমার প্রশ্ন আছে। সবাই হয়তো চেষ্টা করছে। তবে পুরোপুরি মানা সম্ভব নয়।' এর ফলে সংকট নিরসনের পরিবর্তে আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এক ধরনের চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে মেহজাবীন ও অপূর্ব বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন। এ বিষয় মেহজাবীন বলেন, 'শুটিং বন্ধ করে ৮ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকেই বাসায় আলাদা আছি। বিষয়টাকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছি না। কাল আরেকবার করোনা পরীক্ষা করাব।' ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কোয়ারেন্টিন থেকে নাটকটির পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ান বলেন, 'আমরা মানবিক কারণেই দুজনের নাম প্রকাশ করতে চাইছি না। আর এটি আমাদের দুর্ভাগ্য। কারণ আমরা পুরো টিম করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ নিয়েই শুটিংয়ে নেমেছিলাম। এর জন্য বাড়তি খরচও করেছে প্রোডাকশন।'