সা ক্ষা ৎ কা র

করোনায়ও থেমে নেই গান

রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী অণিমা রায়। দেশের স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি নিয়মিত রবীন্দ্রসংগীত চর্চা করে যাচ্ছেন তিনি। করোনায় ঘরবন্দি এই সময়েও গান নিয়ে নতুন কাজ করে যাচ্ছেন। আজ এই শিল্পীর জন্মদিন। সমসাময়িক নানা বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন - মাসুদুর রহমান

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
অণিমা রায়
এক দশক পর... দীর্ঘ দশ বছর পর অর্থাৎ আমার বিয়ের পর এবারই প্রথম আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে আমার জন্মদিনের সময়টা কাটাতে পারছি। আমার ভাই-বোন কেউ ঢাকাতে না থাকায় করোনা পরিস্থিতিতে বাবা-মাকে তাদের বাসায় ঝুঁকিতে না রেখে আমার বাসায় নিয়ে এসেছি। এরই মধ্যে এসে গেল আমার জন্মদিন। বাবা-মায়ের আশীর্বাদে এবারের জন্মদিনটা কাটাতে পারব, এজন্য সত্যিই আমি অনেক খুশি। গানে গানে জন্মদিন... জন্মদিন উপলক্ষে আজ ১২.৩০ মিনিটে চ্যানেল আইতে 'তারকা কথন' অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া রাত ৯টায় ফেসবুক লাইভে আমার গানের স্কুল 'সুরবিহার' উদ্যোগে 'বর্ষামঙ্গল' অনুষ্ঠান প্রচার হবে। আমার সঞ্চালনায় এতে আমি ছাড়াও গান পরিবেশন করবেন এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রবি ঠাকুরের প্রিয় ঋতু বর্ষার গান, কবিতায় সাজানো হবে এই আয়োজন। অনুষ্ঠানটি সুরবিহার পেজ থেকে সরাসরি প্রচার হবে। গানের সুরে নতুন কাজ... করোনার মধ্যে গান একেবারে থেমে নেই। ইতোমধ্যে দুটি গান করেছি। দেবজ্যোতি মিশ্রর সংগীতায়োজনে রবীন্দ্রনাথের ১৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে 'আগুনের পরশমণি' গান প্রকাশ হয়েছে। কবি গুরুর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আগামী ২২শে শ্রাবণ প্রকাশ হতে যাচ্ছে 'শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে' গানটি। এছাড়া বিভিন্ন টিভি চ্যানেল থেকে প্রস্তাব আসলেও না করে দিতে হচ্ছে নিরাপত্তার কথা ভেবে। আজ বিটিভিতে রেকর্ডিং আছে হয়তো সেটাও না করতে হবে। যদিও করোনার এই সময়ে শুধুমাত্র চ্যানেল আইয়ের দুটি অনুষ্ঠানে গান করেছি। আর সরকারি কিছু কাজ করেছি ঘরে থেকেই। আশীর্বাদ হয়েও এসেছে করোনা... এমন বৈচিত্র্য জীবন কখনো কাটেনি। করোনায় অনেক নেতিবাচক দিক থাকলেও এতে আশীর্বাদও আছে। নানা ব্যস্ততায় আমরা পরিবারবিমুখ ছিলাম করোনা আমাদের শিখিয়ে গেল পরিবারই আমাদের মূল শেকড়। সবাই এখন পরিবারকে অনেক সময় দিচ্ছে। আমার বিয়ের পর বাবা-মার সঙ্গে যে ব্যবধান তৈরি হয়েছিল করোনায় সেটা নির্মল হয়ে গেছে। দুই সপ্তাহ ধরে তারা আমার সঙ্গে আছেন। চিন্তা করলে দেখা যাবে সবার জন্যই এমন অনেক কিছু মঙ্গল নিয়ে এসেছে করোনা। শিল্পীদের সম্মানী... সার্বিক দিক দিয়ে সব দিকেই খুব খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। এই দুর্যোগে অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছে কেউ কেউ। বিশেষ করে মিউজিশিয়ানরা। সম্প্রতি জানতে পারলাম, আমার পরিচিত একজন মিউজিশিয়ান এখন আম বিক্রি করছেন। এমন অনেকেরই এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এই সময়ে সহযোগিতা না পেলে জীবন চালানো কঠিন। আমি সরকারের অনুদান কিংবা প্রণোদনার কথা বলছি না। কাজের সুযোগ ও সম্মানীর কথা বলছি। অনলাইনভিত্তিক অনুষ্ঠানের জন্য নূ্যনতম সম্মানী না দিয়ে ফ্রি কাজ করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। একজন শিল্পীর কেন মূল্য থাকবে না?