সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
এন্ড্রু কিশোর
সাদামাটাভাবে সমাহিত হচ্ছেন 'পেস্ন-ব্যাকসম্রাট' বিনোদন রিপোর্ট নিজের দেখিয়ে দেওয়া জায়গাতেই আজ সমাহিত হচ্ছেন পেস্ন-ব্যাকের প্রবাদপুরুষ এন্ড্রু কিশোর। ধর্মীয় আচার শেষে বেলা ১২টায় রাজশাহীর সার্কিট হাউজের খ্রীস্টিয়ান কবরস্থানে তাকে শায়িত করা হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে কিংবদন্তী গায়ককে আয়োজন করে শেষ শ্রদ্ধা জানানো যাচ্ছে না। এন্ড্রু কিশোর কেবল একজন জাঁদরেল সংগীত শিল্পীই ছিলেন না, তার কণ্ঠের জাদুতে আমূল পরিবর্তন হয়েছিল বাংলা চলচ্চিত্র গানের। 'বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়েছে', 'আমার সারা দেহ খেও গো মাটি', 'হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস', 'সবাই তো ভালোবাসা চায়', 'ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে', 'তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন', 'ভালো আছি ভালো থেকো', 'তুমি মোর জীবনের ভাবনা', 'চোখ যে মনের কথা বলে'সহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় হার মানেন এন্ড্রু কিশোর। এতদিন এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল ছেলে-মেয়ের অপেক্ষায়। অবশেষে দেশে ফিরেছেন এন্ড্রু কিশোরের ছেলে-মেয়ে। বৃহস্পতিবার সকালের ফ্লাইটে ছেলে জে এন্ড্রু সপ্তক দেশে ফেরেন। আর সোমবার সকালে মেয়ে মিনিম এন্ড্রু সংজ্ঞা দেশে ফিরেছেন। ফলে নির্ধারিত সময়েই পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রে এন্ড্রু কিশোরকে সমাধিস্থ করা হবে। এটি নিশ্চিত করেছেন এন্ড্রু কিশোরের বড় বোনের স্বামী ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস। এ বিষয়ে প্রয়াতের পারিবারিক ঘনিষ্ঠজন মোমিন বিশ্বাস বলেন, 'আজ সকাল ৯টায় রাজশাহীর স্থানীয় চার্চে এন্ড্রু কিশোরের মরদেহ নেওয়া হবে। সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা সেরে দুপুর ১২টায় তাদের পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রে নেওয়া হবে। সেখানেই বাবা-মার পাশে সমাধিস্থ হবেন এন্ড্রু কিশোর।' তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মরদেহ নেওয়া হবে না জানিয়ে মোমিন বিশ্বাস বলেন, 'শুরু থেকেই দাদার মরদেহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া ও সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানাবার একটি পরিকল্পনা ছিল। তবে সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কঠিন হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়নি। যে কারণে আমরা সেখানে মরদেহ নিচ্ছি না।' ২ যুগে এটিএন বাংলা বিনোদন রিপোর্ট আজ ১৫ জুলাই পথচলার ২৩ বছর পূর্ণ করে ২৪ বছরে পদার্পণ করছে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা। 'অবিরাম বাংলার মুখ' স্স্নোগানকে বুকে ধারণ করে ১৫ জুলাই ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে চ্যানেলটি। ঐদিন বিশ্বব্যাপী প্রথম বাংলা ভাষার সম্প্রচার ঘটে জনপ্রিয় এই বাংলাদেশি চ্যানেলটির মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠানের স্বপ্নদ্রষ্টা ড. মাহফুজুর রহমান বাংলাদেশের সংস্কৃতি সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে পৌঁছে দেন স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। শুধু সংবাদ নয়, অনুষ্ঠান প্রচারেও এটিএন বাংলা নিজেকে এগিয়ে রেখেছে। বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষা, খেলাধুলা, সমাজ, সংস্কৃতি নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচারের বিষয়ে বরাবরই প্রাধান্য দিয়েছে। অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশের খেলাধুলাকে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা দিতে এটিএন বাংলা বদ্ধপরিকর। ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ও দেশের বাইরে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন খেলা নিয়মিতভাবেই সরাসরি সম্প্রচার করে আসছে এটিএন বাংলা। দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এটিএন বাংলার অর্জন অনেক। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো ২০০৪ সালের ২২ নভেম্বর 'আমরাও পারি' অনুষ্ঠানের জন্য ছোট পর্দার অস্কার খ্যাত এমি অ্যাওয়ার্ড অর্জন। এছাড়াও অসংখ্য সম্মাননা রয়েছে চ্যানেলটির প্রাপ্তির তালিকায়। উলেস্নখ্য, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর কেক কাটা এবং ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করা হবে না। তবে এটিএন বাংলার পর্দায় দর্শকদের জন্য বেশকিছু অনুষ্ঠান থাকছে।