জনপ্রিয় শিল্পীদের ছাড়াই এবারের ঈদ আয়োজন

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
ঈদ কিংবা বিশেষ দিবসে টিভি খুললেই ছোট পর্দার আলোচিত মুখ মেহজাবিন চৌধুরী, আফরান নিশো, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও তানজিন তিশার ডজন খানেক নাটক চোখে পড়ে। নিত্যনতুন গল্প ও যুতসই অভিনয়ে টানা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে তারা টিভি নাটকে রাজত্ব করছেন। অন্য সময় কাজের চাপে দম ফেলার ফুসরত থাকে না তাদের। তবে এবার করোনার প্রকোপে এই চার তারকার কাজের সংখ্যা তলানিতে নেমে গেছে। ঈদে মেহজাবিনের নতুন দুটি নাটক, তানজিন তিশার একটি, আফরান নিশোর দুটি ও অপূর্বর দুটি নাটক প্রচারিত হয়েছে। যেখানে গত বছরও ঈদে দুই ডজনেরর বেশি নাটক প্রচারিত হয়েছিল তাদের। ঈদ নাটকে তাদের মতো চাহিদাসম্পন্ন তারকাদের কম উপস্থিতিকে অনেকেই দীর্ঘদিনের 'রাজত্বে ধস' নেমেছে বলে অবহিত করছেন। ৭ জুলাই দীর্ঘদিন পর কাজে ফিরে মেহজাবিন ও অপূর্ব করোনা সংক্রমণের ভয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। আফরান নিশোও শেষদিকে এসে মাত্র দুটি নাটকে কাজ করেছেন। আর তানজিন তিশা বাবার অসুস্থতা ও করোনায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকায় কাজে ফেরেননি। বেসরকারি টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ থেকে এসব তারকাকে কাজে ফেরার অনুরোধ জানানো হলে একদম শেষ মুহূর্তে কাজে ফেরেন তারা। এর মধ্যে মেহজাবিন ও নিশো জুটির 'একাই একশ', অপূর্ব ও মেহজাবিন জুটির 'প্রাণ প্রিয়' এবং তানজিন তিশা ও নিশোর 'ভুল এই শহরে মধ্যবিত্তরাও ছিল' শিরোনামে নাটক প্রচারিত হয়েছে। কাজ না করার বিষয়ে তানজিন তিশা বলেন, 'প্রতি ঈদেই অনেক কাজ থাকে তার। এবার কাজ হয়নি, সবকিছু অনুকূলে এলে আবার হবে। তাছাড়া আমি চাইনি কোনো ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে। আর শুধু করোনার জন্যই নয়, আমার বাবা একটু অসুস্থ ছিলেন মাঝে। যার কারণে আর সাহস পাইনি বাইরে যেতে। বাবা এখন সুস্থ আছেন। বাবার সুস্থতার পর একবার ভেবেছিলাম কাজ করব। ঈদের আগ মুহূর্তে কিছু কাজের ডেট দেওয়া ছিল। কিন্তু আমি সবদিক চিন্তা করেই না করে দিয়েছি। আমি তো শুধু আমার দিক ভাবতে পারি না। পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়েও আমাকে সচেতন থাকতে হয়।' অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীরও একই কথা। নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সতর্কতা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকায় প্রথমদিকে তিনি কাজ করেননি। পড়ে পরিচালক ও টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের অনুরোধে কাজে ফেরেন তিনি। ঈদের পর পরিস্থিতি মনের মতো হলে আবারও কাজে ফিরবেন। তবে লকডাউনের মধ্যে বিকল্প উপায়ে একটি কাজ করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন মেহজাবিন। গত ঈদেও তার নয়টি কাজ প্রচারিত হয়েছিল। তবে এবারের সংখ্যাটি আশাহত করেছে দর্শকদের। এদিকে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, ইউটিউব চ্যানেল ও ওয়েব পস্নাটফর্ম মিলিয়ে এবার ঈদে সাড়ে তিনশ' থেকে চারশ' নাটক প্রচার হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ নাটক পুরানো। এর মধ্যে অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাফা কবির, মুমতাহিনা টয়া, রিক্তা, তাসনুভা তিশাসহ বেশকিছু অভিনেত্রীর ডজনখানেক নতুন নাটক প্রচার হয়েছে। প্রচার অপেক্ষায় রয়েছে আরও কিছু নাটক। তাছাড়া চঞ্চল চৌধুরী, জাহিদ হাসান, তৌকীর আহমেদ, তারিন জাহান ও মোশাররফ করিমের মতো নামি-দামি অভিনয় শিল্পীদেরও একাধিক নতুন কাজ প্রচারিত হয়েছে। এর মধ্যে তাহসান খান ও সাফা কবিরের ঈদ স্পেশাল 'বিটার লাভ স্টোরি' বেশ আলোচনায় এসেছে। দর্শক নতুন এই জুটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। আর সাফার সঙ্গে তৌসিফ মাহবুবের 'আফটার ম্যারেজ'ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে এবারের ঈদ আয়োজনে সবচেয়ে বড় চমক ছিল চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মিম ও তাহসান খানের 'হঠাৎ বিয়ে' নাটকটি। করোনার আগে ধারণ করা নাটক এবার প্রচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হইচই পড়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে মিম-তাহসানের প্রেম গুঞ্জন চলায় এ জুটির নাটক নিয়ে দর্শকের বাড়তি আগ্রহও ছিল।