স্মৃতিকাতর জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের এক দশক পূর্তিতে কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ। শ্রীলঙ্কান বংশোদ্ভূত এই বলিউড অভিনেত্রী কাজের শুরু থেকেই ছিলেন আলোচনায়। এর হাত ধরেই বলি পাড়ার আইটেম গানে এসেছে আমূল পরিবর্তন। তার আইটেম গান দিয়েই একে অপরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার ট্রেন্ড চালুও হয়েছিল ভারতে। এর মধ্যে 'বিট পে বুটি' এবং 'চন্দ্রলেখা' গান দুটি অন্যতম। এই দুটি গান নিয়ে জ্যাকুলিন বলেন, 'আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না 'বিট পে বুটি' ও 'চন্দ্রলেখা'র কাজ শেষ করেছি এত বছর হয়ে গেছে। 'বিট পে বুটি' নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কত চ্যালেঞ্জ হয়েছিল সেই সময়। আর 'চন্দ্রলেখা'র জন্য আমি পোল ডান্স শিখেছিলাম। ওই সময়গুলো আমার দারুণ প্রিয়।' সম্প্রতি ভারতীয় একটি ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জ্যাকুলিন নিজের মনের কথা শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, 'আমি আশা করি যে একটা নতুন পৃথিবী আমরা দেখতে পাব। যে পৃথিবীতে আমরা অনেক বেশি সচেতন হব। আমরা দূষণ তৈরি করে এমন ট্রাফিক জ্যামে বেশি সময় অপচয় করব না। রাস্তাঘাট ও বাতাসকে পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। সেদিকেও আমাদের নজর রাখতে হবে।' দীর্ঘদিন ধরে ঘরবন্দি ছিলেন তিনি। লকডাউনের কোনও ইতিবাচক প্রভাব কি পড়েছে জ্যাকুলিনের জীবনে? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। জ্যাকুলিন বলেন, 'আমার মনে হয় এই সময়টা পৃথিবী নিজেই খানিকটা সময় পেয়েছে নতুন করে বেঁচে ওঠার জন্য। সবাই বুঝতে পারবেন এটার প্রয়োজন ছিল কতখানি। আমরা যেন এভাবেই বেঁচে থাকতে পারি। বাতাস অনেক বেশি শুদ্ধ হয়েছে। পশুরাও রাস্তায় বেরিয়ে আসছে। এটা খুবই সুন্দর। পৃথিবীকে অনেক বেশি করে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা করতে হবে মানবজাতিকে।' শ্রীলঙ্কার একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উঠে আসেন জ্যাকুলিন। তাকে অনেকেই দ্বীপ কন্যা বলেও ডাকে। তবে বলিউডে এসে নিজের অভিনয় দক্ষতা, নাচ ও গস্নামারের জাদুতে মন জয় করে নিয়েছেন অসংখ্য দর্শকের। প্রকৃতি, যোগাসন ও পশুপ্রেমী জ্যাকুলিন মানুষের মধ্যে ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দিতেই পছন্দ করেন। করোনাভাইরাসের এই সময়েও এক নতুন পৃথিবীর আশায় দিন কাটাচ্ছেন নায়িকা।