সা ক্ষা ৎ কা র

শুটিংয়ে বাসা থেকে খাবার নিয়ে যাচ্ছি

অভিনেত্রী নাজিয়া হক অর্ষা। ছোটপর্দার নিয়মিত মুখ। খন্ড নাটক ও ধারাবাহিকে তার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কাজ করেছেন ওয়েব সিরিজেও। অনাকাঙ্ক্ষিত অবসর ভেঙে ফিরেছেন কাজে। ঈদের আগে করেছেন বেশ কিছু খন্ড ও ঈদ ধারাবাহিকের কাজ। কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ০৮ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নাজিয়া হক অর্ষা
কসরত করতে হয়েছে... কাজ শুরু করেছি জুনের প্রথম সপ্তাহে। আগের আটকে থাকা কিছু খন্ড ও ধারাবাহিকের কাজ সম্পন্ন করেছি। এরপরে ঈদ নাটকে কাজ করেছি। তার বেশিরভাগ ইতোমধ্যেই বিভিন্ন টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। সর্বশেষ কাজ করেছি তরুণ নির্মাতা বাপ্পি খানের 'দাদা ভাই' শিরোনামের একটি নাটকে। এতে আমার সঙ্গে প্রথমবারের মতো কাজ করেছেন আলীনূর জয়। এই কাজটি করতে বেশ কসরত করতে হয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকটি লোকেশন পরিবর্তন করতে হয়েছে। কারণ পূর্ব নির্ধারিত লোকেশন বন্যার পানিতে ডুবে গেয়েছিল। এরপরও সবাই মিলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর কমে সম্ভব নয়... গল্পে কাটছাঁট ও শিল্পী কমিয়ে আগের থেকেই কাজ করা হয়। এমনিতেই আমাদের গল্পে বেশিসংখ্যক শিল্পী থাকে না। এরপরেও করোনার কারণে বেশ কিছু নাটকে শিল্পী সংখ্যা কমানো হয়েছে। তবে এর চেয়ে কমসংখ্যক শিল্পী নিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটি গল্প বের করে আনা চ্যালেঞ্জের। আর শিল্পী কমালেই তো হবে না। এর সঙ্গে তো আরও অনেক কিছু জড়িত থাকে। সেসবও দেখতে হবে। তবে প্রডাকশন ও টেকনিক্যাল টিমের লোকবল কমানো হয়েছে। বিশেষ করে মেকআপ আর্টিস্ট একজনের বেশি রাখা হচ্ছে না। সবকিছু স্যানিটাইজ করা হচ্ছে... সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করার চেষ্টা করছে। সবকিছু স্যানিটাইজ করা, মাস্ক ব্যবহারসহ সেট তৈরি করার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। বিশেষ করে অভিনয়শিল্পীরাও যার যার জায়গা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চেষ্টা করছে। শুটিংয়ে আমরা সাবাই যার যার খাবার বাসা থেকে নিয়ে যাচ্ছি। সবাই দূরত্ব বজায় রাখছে। দেখা গেল, একেকজন শিল্পী একেকটা কর্নারে বসে আছে। দূর থেকেই সবাই কথাবার্তা সারছে। কেউ কেউ শট শেষে গাড়িতেই বসে থাকছে। তবে সবকিছু মেইনটেইন করে কাজ করা একটু কঠিন হলেও এর বিকল্প কিছু নেই।