সাক্ষাৎকার

ময়না চরিত্রটি আমাকে নতুন করে ভাবিয়েছে

অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। গল্পভিত্তিক খন্ডনাটকে তার উপস্থিতি কদর করার মতোই। বড় পর্দায়ও সমানভাবে আলোচিত তিনি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থেকে ঈদের আগ মুহূর্তে কাজে ফিরেছেন। করোনাকালীন কাজে ফেরাসহ সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আশনা হাবিব ভাবনা
'টু-লেট' প্রসঙ্গে... এবারের ঈদে 'টু-লেট' শিরোনামে আমার একটি নাটক প্রচারিত হয়েছে। এ নাটকটি করতে গিয়ে আমি অনেক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি। বিশেষ করে 'ময়না' চরিত্রটি করতে গিয়ে আমাকে নতুন করে ভাবিয়েছে। গল্পটা শুনেই মন ভীষণ খারাপ হয়েছিল। এত জীবন-ঘনিষ্ঠ গল্প এর আগে করা হয়নি। কাজের সার্থকতা... একটি কাজ করার পর দর্শক ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করলে, কাজের সার্থকতা আসে। 'টু-লেট' তেমনই একটি নাটক। এই নাটকে কাজ করার সার্থকতা হলো, 'নাটকটি দেখে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আমাকে ফোন করেছিলেন। করোনার মধ্যে সে তার প্রতিষ্ঠানে যাদেরকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন, আমার নাটকটি দেখে তাদের আবারও ফিরিয়ে এনেছেন। এটি শোনার পর চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনি। অভিনেত্রী হিসেবে এটিই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এর জন্য অবশ্যই কৃতজ্ঞতা জানাই নির্মাতা অনিমেষ আইচের প্রতি। আগামীতেও আমি এই ধরনের নাটকেই অভিনয় করতে চাই যেসব নাটকে অভিনয় করলে সমাজের মানুষের উপকার হয়। আউটডোর শুটিংয়ে সমস্যা... করোনা সংকট এখানেই নয়, সমস্যাটা পুরো বিশ্বের। এর মধ্যে শুটিং শুরু হলেও বেশকিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে আউটডোর শুটিং নিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হয়। ক'দিন আগেও আমরা যখন তখন শুটিংয়ের জন্য হুটহাট ঢাকার বাইরে চলে যেতাম, দেশের বাইরে চলে যেতাম। এখন চাইলেও করা যাবে না। সবাই চাইবে সীমিত পরিসরে শিল্পী নিয়ে কাজ করতে। এর ফলে শিল্পীদের কাজের সংখ্যাও কমবে। গল্পে পরিবর্তন আনতে হবে। লোকসমাগম হয় বা বেশি শিল্পীনির্ভর দৃশ্যগুলো করা যাবে না। সব মিলিয়ে শোবিজ অঙ্গনের উপর বড়সড় ধকল যাবে। তবে দক্ষতা ও ধৈর্যের মধ্য দিয়ে এগুলো মোকাবিলা করতে হবে। শুটিং শুরু হওয়ার প্রয়োজনীয়তা... স্বল্প আয়ের শিল্পী ও কলাকুশলীদের কাছে কাজ শুরু হওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি ছিল। কারণ শুটিং না হলে তাদের আয়-রোজগার হয় না। একটা শুটিংয়ে তো শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রীই থাকে না। পেছনে অনেকেই কাজ করেন। মেকআপ ম্যান থেকে শুরু করে লাইটম্যান, টেকনিশিয়ান, সহকারী পরিচালকসহ আরও অনেকেই থাকে। সবার রুটি-রুজি কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত। সুতরাং বলাই বাহুল্য, তাদের কাছে শুটিং শুরু হওয়া কতটা জরুরি। সেসব দিক বিবেচনা করে আমিও কাজ শুরু করেছি।