কলকাতায় স্থায়ী হচ্ছেন মিথিলা!

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
রাফিয়াত রশিদ মিথিলা
বাংলাদেশের আলোচিত অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা কলকাতার চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে বিয়ে করেন গত বছরের ৬ ডিসেম্বর। এরপর একাধিকবার মিথিলার কলকাতায় স্থায়ী হওয়ার গুঞ্জন ওঠে। কথায় আছে- যা রটে, তার কিছু তো ঘটে। তবে এতদিন এসব নিয়ে চুপ থাকলেও সম্প্রতি গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন এই অভিনেত্রী। এতে কলকাতায় স্থায়ী হওয়ার ইঙ্গিত দেওয়ার পাশাপাশি মেয়ে আয়রাকে সেখানকার একটি স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন বলে জানান তিনি। মিথিলার ভাষ্যমতে, 'যেহেতু ওপার বাংলার মানুষকে বিয়ে করেছি, আমাকে তো ওপার বাংলায় যেতেই হবে। তার মানে কিন্তু এই না যে, আমি একেবারে বাংলাদেশ ছাড়ছি। ভালো কাজ থাকলে আমি অবশ্যই বাংলাদেশে আসব। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে কলকাতার দূরত্ব বেশি নয়। আমি ইচ্ছা করলেই যে কোনো সময় আসব। আমার মেয়ে আয়রা এখন সেখানেই পড়াশোনা করছে। সেদিকে আমার নজরও দিতে হবে।' এদিকে চলতি বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে কলকাতায় গ্র্যান্ড রিসেপশনের পর থেকেই নিজেদের পেশায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন সৃজিত-মিথিলা দম্পতি। কাকাবাবুর শু্যটিং নিয়ে সৃজিত পাড়ি দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় আর মিথিলা ফিরে আসেন বাংলাদেশে। ব্যস্ত হয়ে পড়েন চাকরি ও অভিনয় নিয়ে। দুজনের কাজের ফাঁকে সময় করে দেখা করার পরিকল্পনা থাকলেও সব কিছু ভেস্তে যায় করোনার কারণে। ফলে দীর্ঘ ৪ মাস ধরে এই দম্পতির দেখা-সাক্ষাৎ নেই। ভরসা ছিল শুধু ভিডিও কল। কাজের ফাঁকে সময় পেলে ফোন আর ভিডিও কলেই কাছে থাকার আশ মিটিয়েছেন তারা। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতাই তাদের একসঙ্গে থাকার কারণ হিসেবে দাঁড় করাতে চাইছেন অনেকে। ওপার বাংলাতেও কাজ করার কথা রয়েছে মিথিলার। কথা বলেছেন সে বিষয়ও। তিনি জানান, 'বেশ কিছু ভালো কাজের কথা চলছে। তার মধ্যে কলকাতার একটি ওয়েব সিরিজ। এ ছাড়া বাংলাদেশে নতুন কিছু নাটক করার কথা আছে। সব মিলিয়ে দুই বাংলায় ভালো কিছু কাজ করব বলে আমি আশা করি। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আমি কাজগুলো শুরু করতে পারব না।' চলতি মাসের শেষ দিকে অথবা আগামী মাসের মাঝামাঝি সময় দেশ ছাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানান এই অভিনেত্রী। তাছাড়া মেয়ে আয়রা এখন বাংলাদেশে থেকেই অনলাইনে ক্লাস করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাকে সেখানেই থাকতে হবে। আর মেয়েকে কলকাতায় রেখে মিথিলার পক্ষে বাংলাদেশে থাকা সম্ভব না। গত ডিসেম্বরে বিয়ের পরদিনই গবেষণার কাজে জেনিভায় পাড়ি দেন মিথিলা। সঙ্গে অবশ্য সৃজিতও গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে দুজনেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন কাজে। ফেব্রম্নয়ারিতে তাদের রিসেপশনের পর এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি সৃজিত-মিথিলার। বিয়ের পর প্রথম ঈদ, জামাইষষ্ঠী, মিথিলার জন্মদিন, আয়রার জন্মদিন- সবই ভার্চুয়ালি সেলিব্রেট করতে হয়েছে তাদের। কার্যত এমন দূরত্বের অবসান চাইছেন সৃজিত ও মিথিলা উভয়ই। যদিও মিথিলার দেশ ছাড়ার বিষয়টি অনেকেই নেতিবাচকভাবে দেখছেন। বরাবরের মতো মিথিলার সমালোচনায় মেতে উঠেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তবে কেউ কেউ বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবেই দেখছেন। আর বিয়ের পর অভিনেত্রীদের দেশ ছাড়ার খবর এটিই প্রথম নয়। হলিউড ও টালিউড ও ঢালিউডে এটি অহরহই হচ্ছে। নেটিজেনদের এমন অবান্তর মন্তব্যের জেরে কদিন আগে মিথিলা তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাবলিক কমেন্ট বক্সও বন্ধ করে দেন। প্রসঙ্গগত, মিথিলা ও সৃজিত উভয়েরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে। মিথিলা এর আগে দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান খানকে বিয়ে করেন। মেয়ে আয়রা মিথিলা ও তাহসানের সন্তান। এরপর এই জুটির বিচ্ছেদ হওয়ার পর মেয়ে মিথিলার কাছেই থাকছে।