আজকের যায়যায়দিন

রাঙামাটি জেলায় বিনোদনের সেরা স্থান হিসেবে কাপ্তাইয়ের পরিচিতি থাকলেও দর্শকের অভাবে গত ২০ বছরে বন্ধ হয়ে গেছে ৭টি সিনেমা হল। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এখানকার বিনোদন-সংস্কৃতির প্রায় সব মাধ্যম।

১৯৮৮ সালে কাপ্তাই পানি বিদু্যৎকেন্দ্রের পরিচালনাধীন 'অলিম্পিয়া' সিনেমা হল বন্ধের মাধ্যমে উপজেলার বিনোদন অঙ্গনে ধস নামে। ১৯৯০ সালে বন্ধ হয়ে যায় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত 'লোটাস' সিনেমা হল। ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে চন্দ্রঘোনা কেপিএমের আওতাধীন 'চান্দিমা' সিনেমা হল। প্রায় এক যুগ সিনেমা হলটি বন্ধ থাকার পর ২০০৩ সালে বিপুল অর্থ ব্যয়ে সিনেমা হলটি আবার চালু করা হলেও দর্শকের অভাবে এক মাসের মাথায় হলটি আবারও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। ১৯৯৯ সালে বিধ্বস্ত হওয়া বাঙ্গালহালিয়ার 'শান্ত সিনেমা' হলটি আর চালু করা হয়নি। ২০০২ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাইখালীর 'উর্মি' সিনেমা হল। এরপর বন্ধের তালিকায় যুক্ত হয় মিতিঙ্গাছড়ির 'বজ্রঙ্গনা' সিনেমা হল। সর্বশেষ দর্শকের অভাবে ২০০৬-২০০৭ সালের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাপ্তাই নতুন বাজারে অবস্থিত 'বনলতা' সিনেমা হলটি। দেখতে দেখতে অনেক বছর অতিবাহিত হলেও এসব সিনেমা হল চালানোর আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফন্দ্রেলাল ত্রিপুরা জানান, আগের সেই সোনালি দিন হারিয়েছে কাপ্তাই। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলেছে সবই।