সাক্ষাৎকার

মঞ্চই আমার শিকড়

অভিনেতা ও নির্মাতা নাদের চৌধুরী। বিটিভিতে প্রচারিত 'বারো রকম মানুষ' নাটকে লজিং মাস্টার চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হোন। এরপর অসংখ্য কাজ করেছেন ছোট ও বড় পর্দায়। নির্মাতা হিসেবেও রয়েছে সুখ্যাতি। তার পরিচালিত 'মেয়েটি এখন কোথায়' ছবিটি একাধিক ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছে। নিয়মিত কাজ করছেন মঞ্চেও। এ অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন রায়হান রহমান

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নাদের চৌধুরী
করোনা তান্ডবে... 'জিন' নিয়ে আমার অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। কারণ এ ছবিটি অনেক খেটে নির্মাণ করেছি। তাছাড়া এ ছবির অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও তাদের সর্বোচ্চটা উজাড় করে কাজ করেছেন। এমনও হয়েছে রাতের পর রাত আমরা পুরানো ভাঙাচোরা বাড়িতে কাটিয়েছে, সঠিক একটি শট নেওয়ার জন্য। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে হয়তো এরইমধ্যে ছবিটি মুক্তি পেত। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি। মাঝে অনলাইন পস্নাটফর্মে ছবিটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা হলেও এখন পর্যন্ত বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। আর আমরা যে ধরনের কঠিন একটি সময় পাড় করছি, সেটা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। মহামারির তান্ডবে কতগুলো প্রিয়মুখকে হারাতে হয়েছে। তবে আশা করছি শিগগিরই সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। নির্মাণ ও অভিনয়... অভিনয় আর নির্মাণের মধ্যে একটা পার্থক্য তো আছেই। অভিনয় মানে, আমার চরিত্রটুকু সুন্দরভাবে করে দিলেই দায়িত্ব শেষ। কিন্তু পরিচালনা করতে গেলে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। পুরো ইউনিটের কে কোথায় কি করছে, কোন শটটা আগে নেব, কোনটা পরে নেব সব কিছু দেখতে হয়। ফলে পরিশ্রমটাও বেশি করা লাগে। আর এসব কিছু করতে গিয়ে অন্য কারও প্রজেক্টের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করাও কঠিন। তাই হয়তো অভিনয়ের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। এরপরেও 'শান' নামের একটি চলচ্চিত্রে সম্প্রতি কাজ করেছি। এছাড়াও দু'একটি টিভি নাটকের কাজও শেষ করেছি। তবে বলতে গেলে অভিনয়ের চেয়ে আমার নির্মাণের ব্যস্ততাই বেশি। মঞ্চের অভিনয়... মঞ্চে আমি নিয়মিত। আমার সব কিছু একদিকে আর মঞ্চ অন্যদিকে। একটি দলের সঙ্গে শুরু থেকেই আছি। আমি সবসময় একটি কথা বলি, মঞ্চই আমার শিকড়। মঞ্চে কাজ না করলে কখনো অভিনয় শিখতে পারতাম না। এ বছর শুরুতেই বেশ কিছু মঞ্চের কাজ নামিয়েছি দলবল নিয়ে। করোনা না এলে আরও কিছু কাজ করার কথা ছিল।