ন্যানসির বিরুদ্ধে নারী নিযার্তন মামলা

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

বিনোদন রিপোটর্
ন্যান্সি
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ন্যান্সি আর তার ছোট ভাই শাহরিয়ার আমান সানির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নিযার্তন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সানির স্ত্রী সামিউন্নাহার শানু বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে নেত্রকোনা মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ন্যান্সি ও তার স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদকেও আসামি করা হয়। শানুর দায়ের করা মামলা থেকে জানা গেছে, বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে সানি বেকারত্ব দেখিয়ে শানুকে তার বাবার বাড়ি থেকে টাকা ও আসবাবপত্র এনে দিতে চাপ দেন। এতে শানু অপারগতা প্রকাশ করলে সানি তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নিযার্তন চালান। স¤প্রতি এই কাজে ভাইকে বড় বোন ন্যান্সি আর তার স্বামী জায়েদ সাহায্য করেন। তারা সানিকে উসকানি দেয়া ছাড়াও শানুকে বিভিন্ন সময়ে মানসিক নিযার্তন চালাতেন। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা সদর থানার সাতপাই এলাকার সানির বাবার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মামলার অপর দুই আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ২৭ আগস্ট সানি তার স্ত্রী সামিউন্নাহার শানুকে তালাক দিয়েছেন। এই তালাকের কাগজ এরই মধ্যে শানুর হাতে পেঁৗছেছে। এদিকে, ন্যান্সি এখন ঢাকায় আছেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমাকে কেন মামলায় জড়ানো হলো? শুধু আমাকে না, সঙ্গে আমার স্বামীকেও জড়ানো হয়েছে। এর মানে কী! আমার ভাই তার স্ত্রীর সঙ্গে কী ব্যবহার করেছে, তা তো আমার জানার কথা না। আমি থাকি ময়মনসিংহে আর ভাই থাকেন নেত্রকোনায়। হঠাৎ গত শুক্রবার রাতে জানতে পারলাম, আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’ ন্যান্সি জানতে পেরেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে সম্পত্তি নিজের নামে লিখে দেয়ার জন্য সানিকে চাপ দিচ্ছেন তার স্ত্রী সামিউন্নাহার শানু। কিন্তু তা স্ত্রীকে লিখে দিতে অস্বীকৃতি জানান সানি। এরপর তা নিয়ে পারিবারিকভাবে তাদের কলহ হয়েছে। এমনকি শানু তার ভাইয়ের বন্ধুদের দিয়েও সানির ওপর হামলা করিয়েছেন, তাকে মেরেছেন, ভয় দেখিয়েছেন। শেষ পযর্ন্ত সানি তার স্ত্রীকে তালাক দেন। ন্যান্সি দাবি করেন, স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ব্যাপারে ন্যান্সি বা তার স্বামীর সঙ্গে সানি কোনো আলোচনা বা পরামশর্ করেননি। ন্যান্সি আরও বলেন, ‘যতটুকু বুঝতে পারছি, যেহেতু আমাকে দেশের সবাই চেনেন, জানেন, তাই আমাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। আমাকে জড়ানোর ফলে তারা এখন দেশের সব সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পাচ্ছে। যেহেতু সব সংবাদমাধ্যমে খবর হচ্ছে, ফলে প্রশাসনও ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। আর আরেকটি ব্যাপার বেশ বুঝতে পারছি, আমাকে দেশের সবার সামনে ছোট করার জন্য, আমার ইমেজের ক্ষতি করার জন্য তারা আমাকে এই মামলায় আসামি করেছে।’