সা ক্ষা ৎ কা র

২১৭ দিন পর কাজে ফিরলাম

ফেরদৌস আহমেদ। একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ নায়ক উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি দুই বাংলার চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আস্থাভাজন। পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তাও। করোনা মহামারির মধ্যেই শনিবার ফিরেছেন কাজে। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন রায়হান রহমান

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফেরদৌস আহমেদ
'গাঙচিল' দিয়েই ফিরলাম... এই তো, কাজে ফিরেছি মাত্র। 'গাঙচিল'-এর শুটিং দিয়েই শুরু করলাম। আমার সঙ্গে পূর্ণিমাও কাজে ফিরেছেন। এখন (শনিবার) এফডিসির শুটিং ফ্লোরে আছি। টানা ছয়দিন কাজ করার পরিকল্পনা আছে। চাইছি যতদ্রম্নত সম্ভব কাজটা শেষ করতে। গত ফেব্রম্নয়ারিতেই আমাদের শুটিং শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জলোচ্ছ্বাসের একটি সিকোয়েন্স করতে গিয়ে তখন পূর্ণিমাসহ ইউনিটের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর তো করোনা চলে এলো। সব মিলিয়ে ছয়-সাত মাস ধরে কাজটা আটকে আছে। অবাকই লাগছে... একদিন দুদিন নয়- টানা ২১৭ দিন পর কাজে ফিরলাম। অবাকই লাগছে। সত্যি বলতে, করোনার প্রকোপের মধ্যে চাইনি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে। কারণ আমারও পরিবার আছে। তাদের সুস্থতা নিশ্চিত করার দায়িত্বটাও আমার। এখন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হয়েছে। তাই কাজে ফেরা। তা ছাড়া ইউনিটের সবাই স্বাস্থ্য-সুরক্ষা মেনেই কাজ করছে। দীর্ঘদিন পর কাজে ফিরে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে। অস্বস্তি যে হচ্ছে না, তেমনটি নয়। তবুও কাজ করছি। একেবারে হাত গুটিয়ে বসে থাকা উচিত নয়। আমাদের উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। কোনো ত্রম্নটি রাখা যাবে না... বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে কাজ করা সত্যিকার অর্থেই চ্যালেঞ্জের কাজ। করোনা মহামারি দেখা না দিলে এতদিনে কাজের বেশ অগ্রগতি হতো। শুনেছি শিগগিরই কাজটি শুরু হতে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রের জন্য আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এ ধরনের ঐতিহাসিক চরিত্রে আগে কখনো অভিনয় করার সুযোগ হয়নি। আমার চিন্তা হচ্ছে, কীভাবে করব? আদৌ ঠিকঠাক করতে পারব কিনা? কারণ এমন একটি চরিত্রের জন্য আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে, যেখানে কোনো ত্রম্নটি রাখা যাবে না। সঙ্গে পূর্ণিমা আছেন... 'গাঙচিল' ও 'জ্যাম' দুটোতেই আমার বিপরীতে পূর্ণিমা আছেন। এ ছাড়া গত বছর লন্ডনে জি এম ফারুকের 'যদি আরেকটু সময় পেতাম' সিনেমার কাজ শেষ করেছি। মাহমুদ দিদারের 'বিউটি সার্কাস' সিনেমা ও অরণ্য পলাশের 'গন্তব্য' সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ও উপস্থাপনার কাজও আছে। এ ছাড়া করপোরেট কিছু কাছ থাকে। সেগুলোও করতে হয়। এখন যেহেতু কাজে ফিরেছি। আশা করছি সব ধরনের কাজই ঠিকঠাক মতো চালিয়ে যেতে পারব। মৃতু্য কামনা করি না... ধন্যবাদ আইন মন্ত্রণালয়কে, ধর্ষণের মতো অপরাধের জন্য সময়োপযোগী আইন সংশোধন এবং প্রণয়ন করেছেন। এখন প্রয়োজন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োগ করা। একজন ধর্ষকের শাস্তি এমন ভয়ঙ্কর হওয়া উচিত, যা দেখে আর কেউ কখনো দুঃস্বপ্নেও এমন অপকর্মের কথা না ভাবে। আমি জ্ঞানত কখনো কারও মৃতু্য কামনা করি না। কিন্তু ধর্ষকের মতো নরপিশাচ, যার ব্যভিচারে যে কোনো আবালবৃদ্ধবনিতার জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, যার অত্যাচারে একজন নারী জীবন্মৃতের সম্মুখীন হয়ে থাকেন, তার শাস্তি হিসেবে মৃতু্যদন্ডও অনেক কম।