সা ক্ষা ৎ কা র

নিজেকে প্রকাশ করতে না পারলে ছবি করে কি লাভ

মামনুন হাসান ইমন। এক যুগের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন 'দারুচিনি দ্বীপ', 'গহীনের শব্দ', 'লাল টিপ', 'পদ্ম পাতার জল' ও 'পাসওয়ার্ড'-এর মতো আলোচিত ছবি। করোনার অনাকাঙ্ক্ষিত অবসর কাটিয়ে সম্প্রতি ফিরেছেন শুটিংয়ে। নতুন স্বাভাবিক জীবনের শুটিং অভিজ্ঞতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন রায়হান রহমান

প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মামনুন হাসান ইমন
ভিন্ন লোকেশনে, মফস্বল শহরে... সাত-আটমাস পর কাজে ফেরার আনন্দ, এক কথায় বলা যাবে না। এটা অন্যরকম এক ভালো লাগা। কারণ এতদিন বাসায় বসে বসে নানা রকম চিন্তা হতো। আদৌ বাইরে বের হতে পারব কিনা, কখনো আগের মতো শুটিং হবে কিনা? নিজের ভেতর এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করছিল। তবে বীরত্বের সঙ্গে যেদিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালাম, এক তুড়িতে সব উধাও। মনে হলো চেনা পরিবেশে ফিরতে পেরেছি। তাছাড়া বীরত্বের মতো ভালো একটা গল্প দিয়ে কাজে ফিরতে পারায় ভালো লাগাটা বহুগুণ বেড়ে গেছে। শুটিংও হয়েছে একদম ভিন্ন লোকেশনে, মফস্বল শহরে। এটা আমার দায়িত্বও বটে... যখন নতুন ছিলাম তখনতো অনেক কিছুই বুঝতাম না। কেউ ছবির কথা বললেই সাইন করে চলে আসতাম। এখন বুঝতে শিখেছি। শুধু অভিনয় করলেই হবে না। পাশাপাশি অভিনেতার গেটআপটও পরিবর্তন করতে হবে। গল্পের পরিবেশের সঙ্গে মিশতে হবে। ঠিক এই কারণেই 'পাসওয়ার্ড'-এ আমার একরম লুক হয়েছে। 'বীরত্ব'-এ নতুন লুক হয়েছে। 'আকবর'-এ দর্শক আরেকটা লুক পাবে। বীরত্ব নিয়ে আরেকটু বলতে চাই। এর পুরো শুটিং আমি চাইলে একসঙ্গে শেষ করতে পারতাম। কিন্তু এই লুক সেটের জন্যই করিনি। কারণ গল্পে পাঁচ বছরের একটি গ্যাপ দেখানো হবে। আমি চাইছি দর্শক হলে গিয়ে এই গ্যাপটা বুঝতে পারুক। তাই আমার নিজের মধ্যে কিছু ন্যাচারাল পরিবর্তন আনার জন্য পরিচালকের কাছ থেকে সময় নিয়েছি। একজন অভিনেতা হিসেবে এটা আমার দায়িত্বও বটে। কারণ নিজেকে প্রকাশ করতে না পারলে ছবি করে কি লাভ? সিকু্যয়েন্সে যাওয়ার প্রস্তুতিও চলছিল... করোনার আগে থেকেই আমি একটি ড্রিম প্রজেক্টের সঙ্গে আছি। 'আকবর, ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন ঢাকা' ছবির শুটিং শুরু হয়েছিল। এর টাইটেল সংয়ের কাজ শেষ করেছি। সিকু্যয়েন্সে যাওয়ার প্রস্তুতিও চলছিল। কিন্তু মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াল করোনাভাইরাস। এখন যেহেতু আমি অন্য ছবির কাজ শুরু করেছি আর সামনেই অনন্ত জলিল ভাইয়ের একটি ছবিতে কাজ করার কথা রয়েছে। তাই এগুলো শেষ হওয়ার পর আকবরের কাজে হাত দেব। সেভাবে বললে মাস দুয়েক তো টাইম লাগবেই। আগামী বছরের গোড়ার দিকে... শিগগিরই আমার কোনো ছবি মুক্তি পাচ্ছে কিনা- এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। তবে দুই-তিনটি ছবির কাজ একদম সম্পন্ন। এক কথায় রেডি প্রডাক্ট। এর মধ্যে অঞ্জন আইচের 'আগামীকাল' ও সাদেক সিদ্দিকীর 'সাহসী যোদ্ধা' অন্যতম। আর এখন যেগুলোর কাজ করতেছি, সেগুলো হয়তো আগামী বছরের গোড়ার দিকে মুক্তি পাবে।