সাক্ষাৎকার

পঁাচ বছর পর ক্যামেরার সামনে দঁাড়াচ্ছি

জনপ্রিয় লাক্সতারকা নাফিজা জাহান। ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে অভিনয় ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে স্বামী-সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন মিষ্টি হাসির এই তারকা। অভিনয় করছেন নতুন নাটকে। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গেÑ

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নাফিজা জাহান
দু’মাস দেশে ... পঁাচ বছর পর গত ১৬ আগস্ট ঢাকা ফিরেছি। এরপর থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছি। দীঘির্দনের বন্ধু, সহকমীের্দর সঙ্গে আড্ডা দিয়ে দারুণ সময় কাটছে। পরিবারের সবার সঙ্গে আগামী দু’মাস সময় কাটাব। এরমধ্যে ভালো লাগার মতো গল্প ও চরিত্র পেলে নাটক-টেলিছবিতে অভিনয় করব। প্রত্যাবতের্নর নাটক ... দীঘর্ পঁাচ বছর পর আজ ক্যামেরার সামনে দঁাড়াচ্ছি। আমি খুবই এক্সাইটেড। আবার একদিকে ভয়ও হচ্ছে। ‘শেষ দেখার পরে’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় শুরু করছি। আজ ও আগামীকাল এই নাটকের শুটিং হবে। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন প্রিয় অভিনেতা মীর সাব্বির ভাই। আগে যখন কাজ করতাম তখন চিত্রনাট্য হাতে পেলে একবার দেখলেই বুঝে যেতাম আমার কাজ বা চরিত্র কেমন। নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু এবার সত্যি ভয় লাগছে। জানি না কেমন হবে, তবে চেষ্টা করব আগের মতো সাবলীল অভিনয় করার। প্রবাস জীবন ... প্রবাসে স্বামী-সংসার নিয়ে বেশ ভালোই আছি। বসে থাকতে থাকতে একটু মুটিয়ে গিয়েছি। তবে প্রবাসে থাকলেও অভিনয়কে খুব মিস করি। এটা আমার ভালোলাগার জায়গা। তাই অভিনয় থেকে দূরে থাকলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মিডিয়ার অনেকের সঙ্গেই আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। মিডিয়ায় প্রবেশ ২০০৬ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মিডিয়ায় আমার পথচলা শুরু। ক্যারিয়ারের একেবারে শুরুর দিকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘৪২০’ নাটকে বিজলী চরিত্রে দশর্ক আমাকে দারুণভাবে গ্রহণ করে। এরপর থেকে আর পেছন ফিরতে হয়নি আমাকে। মডেলিং ও অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। তবে বৈবাহিক সূত্রে ২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে ভালোলাগার জায়গা অভিনয় ছেড়ে হঠাৎ করেই আমাকে আমেরিকা চলে যেতে হয়। তারকা জীবনের আগে ... আট-দশটা মেয়ের মতোই সাধারণ একটি মেয়ে ছিলাম আমি। ঢাকাতেই বেড়ে ওঠা। আমার পরিবারের কেউ কোনোদিন মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তবে সংস্কৃতি চচার্র ক্ষেত্রে পরিবারের সাপোটর্ ছিল। বিশেষ করে মা আমাকে বেশ উৎসাহ দিতেন। বন্ধুদের উৎসাহে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম প্রথম ধাপেই বাদ পড়ে যাব। তবে একের পর এক ধাপ অতিক্রম করে যখন টপ ২০ তে চলে এলাম তখন মনে হলোÑ এবার আর বাদ পড়া যাবে না। বাদ পড়লে মান-সম্মান থাকবে না। তখন থেকেই মন দিয়ে সকল গ্রæমিং ফলো করতাম। আস্তে আস্তে টপ ৭ প্রতিযোগীর একজন নিবাির্চত হই।