সাক্ষাৎকার

একুশে গ্রন্থমেলায় ছোটগল্পের বই প্রকাশ করব

জনপ্রিয় অভিনেত্রী কুসুম শিকদার। শোবিজ অঙ্গনে দেড় যুগ অতিক্রম করেছেন তিনি। বড় ও ছোট দুই পদাের্তই অভিনয় করে হয়েছেন প্রশংসিত। এ বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অজর্ন করেছেন তিনি। অভিনয় ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কুসুম শিকদার
অভিনয়ে অনিয়মিত... ইদানীং অভিনয়ে কম সময় দিচ্ছি। এখন আমাকে আগের মতো অভিনয় করতে হবে, তেমন ভাবি না। যেনতেন নাটকে কাজ করে সংখ্যা বাড়াতে চাই না। যদি ভালো কোনো স্ক্রিপ্ট পাই, তাহলে কাজ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেই। সবের্শষ ঈদুল আজহায় হানিফ সংকেতের ‘শেষ অশেষ’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছি। নাটকটি দশের্কর মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত... আমি এখন লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। আসছে একুশে গ্রন্থমেলায় একটি ছোটগল্পের বই প্রকাশ করব। ডিসেম্বরের মধ্যে লেখা শেষ করতে হবে। অনেক যতœ নিয়ে গল্পগুলো লিখছি। আশা করছি, ভালো কিছু হবে। গ্রন্থমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। তাই এটির প্রতি অনেক বেশি আবেগ কাজ করে। সব কিছু ঠিক থাকলে আমার বইটি গ্রন্থমেলায় পাবেন সবাই। চলচ্চিত্রে... ২০১০ সালে খালিদ মাহমুদ মিঠুর ‘গহীনে শব্দ’ ছবির মধ্য দিয়ে বড়পদার্য় আমার আগমন ঘটে। সবের্শষ ‘শঙ্খচিল’ ছবিতে অভিনয় করি। গৌতম ঘোষ পরিচালিত ইন্দো-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় এই ছবিতে আমার বিপরীতে ছিলেন কলকাতার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এই ছবিতে অভিনয় করে এ বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অজর্ন করেছি। আমি যে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি, এর সবকটিই দশর্ক গ্রহণ করেছেন। সুতরাং, আমার এখন দায়িত্ব বেড়ে গেছে। তাই নতুন চলচ্চিত্রের প্রস্তাব পেলেও মনের মতো গল্প ও চরিত্র না পাওয়ায় রাজি হচ্ছি না। আমার সঙ্গে যায় এমন কোনো গল্পের চলচ্চিত্র পেলে অভিনয় করতে আমার কোনো অপত্তি নেই। সংগীতচচার্ অভিনয়ের মাধ্যমে সবাই আমাকে চিনলেও মূলত গানের মধ্য দিয়ে আমার শোবিজে প্রবেশ। ছোটবেলা থেকেই সংগীতচচার্ করতাম। পরে অভিনয়ের ব্যস্ততার কারণে গানে অনিয়মিত হয়ে পড়ি। তবে গেল বছর ‘নেশা’ শিরোনামের একটি গান ও তার মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করি। মিউজিক ভিডিওটি প্রকাশের পর আলোচনা-সমালোচনা দুটিই হয়েছে। নতুন গান নিয়ে কাজ করব। তবে আবার কবে নতুন গান প্রকাশ করব, সেটি নিশ্চিত নই। কাছের মানুষ ... যেহেতু ক্যারিয়ারের লম্বা একটা সময় পার করেছি। তাই কারও নাম বলতে পারছি না। কারণ, এই সময়ে অনেক কিছু দেখেছি। বিভিন্ন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি। সেখান থেকে জেনেছি কারও ওপর নিভর্র করা যায় না। কাজ না করেই আলোচনায় আসতে চাইলে তারা আলোচনার মধ্যেই থাকবে। দশের্কর মনে জায়গা পাবে না। দশের্কর মনে ঠঁাই পাওয়ার জন্য ভালো কাজের বিকল্প নেই।