সা ক্ষা ৎ কা র

দায়বদ্ধতা থেকেই 'দায়মুক্তি'র কাজ করছি

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা সায়মন সাদিক। প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি ব্যবসাসফল ছবি উপহার দিয়েছেন। এর মধ্যে 'জ্বি হুজুর', 'পোড়া মন' ও 'জান্নাত' এই অভিনেতাকে দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। করোনাকালীন অনাকাঙ্ক্ষিত অবসর কাটিয়ে সম্প্রতি কাজে ফিরেছেন তিনি। সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন রায়হান রহমান

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সায়মন সাদিক
সত্যিকার অর্থেই ভালো লেগেছে... করোনার মধ্যে চেষ্টা করেছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিরাপদ থাকতে। একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সে হিসাবে ৫-৬ মাস কোনো শুটিংয়ে ছিলাম না। এখন যেহেতু পরিবেশ-পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে, তাই কাজে ফিরেছি। তাছাড়া 'দায়মুক্তি' সিনেমার গল্প আমার সত্যিকার অর্থেই ভালো লেগেছে। আট-দশটা সিনেমার মতো নয়... ৫ নভেম্বর থেকে 'দায়মুক্তি' সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে। এটি সরকারি অনুদানের একটি ছবি। এতদিনের ক্যারিয়ারে এই প্রথম অনুদানের কোনো ছবিতে কাজ করছি। এটি আট-দশটা সিনেমার মতো নয়। সমসাময়িক একটি পরিচিত গল্প। প্রতিটি ঘরেই বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ থাকে। কিন্তু কোনো এক অদ্ভুত কারণে আমরা তাদের মূল্যায়ন করি না। কখনো কখনো তাদের জায়গা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। এই বিষয়টিই সিনেমায় তুলে ধরা হচ্ছে। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন সুস্মি রহমান। আর ছবিটি পরিচালনা করছেন কমল সরকার। কাজ করছি দায়বদ্ধতা থেকে... মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির বাইরে সেভাবে বলতে গেলে 'দায়মুক্তি'ই আমার প্রথম। সিনেমাটিতে কাজ করছি অনেকটা দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই। কারণ আমিও একদিন বৃদ্ধ হব, চামড়ায় ভাঁজ পড়বে। তাছাড়া আমরা শিল্পী মানুষ। সব সময় ভালো গল্পে কাজ করতে চাই। গল্প ভালো লাগলে, সেটা বাণিজ্যিক নাকি গল্পভিত্তিক; সেদিকে ততটা দৃষ্টি থাকে না। আশা করছি আমার অন্যান্য ছবির মতো এটিও দর্শকের সমান গুরুত্ব পাবে। সুবিধা আছে... গেল কয়েক বছরে সংখ্যায় অল্প হলেও ভালো গল্পের ছবি কিন্তু নির্মাণ হওয়া শুরু হয়েছিল। তবে ভালো ছবি নির্মাণ করেই কিন্তু কাজ শেষ না। সেসব দর্শকদের জানাতে হবে। দরকার ভরপুর প্রচারণা। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয় সব প্রযোজকেরই উচিত ছবি নির্মাণের জন্যে টাকা লগ্নির পাশাপাশি নির্মিত ছবির প্রচারণায়ও মোটা অংকের পয়সা খরচ করা। তাতে সুবিধা আছে।