আজকের যায়যায়দিন

শোবিজ অঙ্গনে যখন যে জোয়ার ওঠে, সেই জোয়ারেই গা ভাসাতে দেখা যায় বেশিরভাগ শিল্পী-কলাকুশলীদের। এপার বাংলার মতো ওপার বাংলাতেও একই চিত্র দেখা যায়। ছবি নির্মাণ কিংবা বিয়ে এবং বিচ্ছেদের বেলাতেও একই দৃশ্য। শীত এবং করোনার মাঝেও টলিউডের একঝাঁক শিল্পী সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই অভিনেতা অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ে নিয়ে টলিপাড়ায় গুঞ্জন ছিল। লকডাউনের জন্য 'ড্রাকুলা স্যার'-এর বিয়ে পিছিয়ে যায়। তবে এই অভিনেতা কিন্তু তার বিয়ে নিয়ে চূড়ান্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করেছেন। বাঙালি যুবতীদের এই নতুন হার্টথ্রব বিয়ে করছেন তার দীর্ঘদিনের বান্ধবী মধুরিমা গোস্বামীকে। নাটকের সূত্রেই তাদের আলাপ। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তাদের একসঙ্গে ছবি পাওয়া যায় না। এমনকি খুব কম জায়গাতেই অনির্বাণ-মধুরিমা মিডিয়াকে ধরা দিয়েছেন। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বিয়েতেই সর্বসম্মুখে তাদের একসঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল। আগামী বৃহস্পতিবার খুব কম অতিথিদের নিয়ে তারা আইনসম্মত বিয়ে সেরে ফেলবেন।

এরপরেই এই তালিকায় নাম রয়েছে অভিনেতা দেবলীনা কুমার ও গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের। দু'বছরের বেশি সময় ধরে তারা প্রেম করছেন। প্রথমে এই বছরের ডিসেম্বর মাসেই সামাজিক বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অতিমারীর কারণে সেই অনুষ্ঠান পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হয়েছে। তবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর তারা আইনসম্মতভাবে বিয়েটা সেরে ফেলবেন। এই মুহূর্তে ভীষণ ব্যস্ত রয়েছেন দেবলীনা। রেজিস্ট্রির দিনেও তাকে অরিন্দম শীল পরিচালিত 'তিরন্দাজ শবর' ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে। অন্যদিকে 'রানি রাসমনি' ধারাবাহিকের শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন গৌরব।

তালিকা এখানেই শেষ হচ্ছে না। আগামী বছর ফেব্রম্নয়ারি মাসের ৪ তারিখে বিয়ে করছেন বাংলা ধারাবাহিকের অতি পরিচিত মুখ তৃণা সাহা ও নীল ভট্টাচার্য। তাদের বন্ধুত্বও দীর্ঘদিনের। ২০১১ সালে এমবিএর প্রবেশিকা পরীক্ষার ক্লাসে তাদের প্রথম দেখা হয়। তারপরে অনেক সময় এগিয়েছে, নীল-তৃণার সম্পর্ক ক্রমেই গাঢ় হয়েছে। অবশেষে 'খড়কুটো'র গুনগুন এবং 'কৃষ্ণকলি'র নিখিলের সম্পর্ক পূর্ণতা পাচ্ছে।