নতুন মুখের সন্ধানে কাযর্ক্রম নিয়ে তারকাদের মন্তব্য

অবশেষে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে অভিনয়ের জন্য শিল্পী সংগ্রহের কাযর্ক্রম ‘নতুন মুখের সন্ধানে ২০১৮’। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থার (বিএফডিসি) সহযোগিতায় এটি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। তবে এই কাযর্ক্রম নিয়ে কয়েকজন তারকা দিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৩৫

অনলাইন ডেস্ক

মালেক আফসারী :

আগে চলচ্চিত্রে নতুন মুখ আনতে গেলে এ ধরনের আয়োজন করা হতো। তখন এফডিসিকেন্দ্রিক ছবি হতো। নতুনদের নিয়ে কাজ করলে এফডিসি থেকে এক ধরনের ছাড় দেয়া হতো সেসময়। মান্না, দিতি, মিশা সওদাগর, অমিত হাসানসহ অনেক তারকাই তখন এই কাযর্ক্রমের মধ্য দিয়ে এসেছেন। কিন্তু বতর্মান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখন তো ফেসবুকের যুগ। পরিচালকদের ফেসবুক ইনবক্সে প্রতিদিন একাধিক নতুন মুখ অভিনয়ের সুযোগ চান। সুতরাং কেউ চাইলেই সেখান থেকে নতুন মুখ নিয়ে কাজ করতে পারেন। তাই নতুন মুখের সন্ধানে কাযর্ক্রমের কোনো দরকার পড়ে না। তাছাড়া নতুন মুখ এনে কি লাভ হবে? তাদেরকে দিয়ে ছবি করানোর মতো প্রোডিউসার কোথায়? যদি লগ্নিকারীই না থাকে তাহলে নতুন শিল্পী এনে তাদের কাজে লাগাবে কীভাবে?

শাকিব খান :

নতুন মুখের বিষয়টা নিয়ে আমি তেমন কিছু জানি না। তবে এর আগে চলচ্চিত্রের মানুষের রেষারেষিটা কমানো বেশি দরকার। হতে পারে তারা হয়তো আমার মতো আরেকটি শাকিব খান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। তবে এখনকার দশর্ক হলো মূল বিষয়। তারা যাকে চাইবেন তিনিই কাজ করবেন ইন্ডাস্ট্রিতে। অনেক নতুন মুখ তৈরি করলেন কিন্তু পরে দেখা গেল সিনেমা দেখার দশর্ক নেই। তখন বিষয়টা কেমন হবে? তাই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।

জাকির হোসেন রাজু :

নতুন মুখের সন্ধানের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। যারা নতুন মুখের মাধ্যমে আসবে তাদেরকে নতুন করে গ্রæমিং করে শিখিয়ে নিতে হবে। তবে আমাদের চলচ্চিত্রে অনেক নতুন মুখ তারা তাদের জায়গাটা ধরে রাখতে পারেনি। অনেক বড় প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন কয়েকজন তো এসেছে (বাপ্পী, মাহি)। কিন্তু তারা এখন তাদের জায়গাটি ধরে রাখতে পারছেন না। এটা হয়তো তাদের ব্যথর্তা। তবে তাদের পাশাপাশি ভালো গল্প আর ভালো নিমাের্ণর প্রতি লক্ষ রাখতে হবে বলে আমি মনে করি।

সাদিকা পারভিন পপি :

বতর্মানে আমাদের চলচ্চিত্রের যে অবস্থা তাতে নতুন মুখের সন্ধানে কাযর্ক্রমের কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ এমনিতেই অনেক শিল্পী আছেন, যারা মেধা থাকা সত্তে¡ও কাজ পাচ্ছেন না। সেখানে নতুন শিল্পী এসে কী করবে? তাছাড়া আমাদের দেশে ছবির যে বাজেট থাকে তাতে ভালোমানের একটি ছবি তৈরি করে নতুনদের সারাদেশের মানুষের কাছে আকষর্ণীয় করে পরিচয় করানোর মতো বাজেট কি আছে? তাহলে নতুনদের ছবি দশর্ক কেন হলে দেখতে যাবে? বরং যারা দীঘির্দন কাজ করে দশের্কর আপন হয়ে উঠেছেন তাদের যদি নতুনরূপে পদার্য় তুলে ধরা হয় তবেই দশর্ক আবার হলমুখী হবে। নতুন শিল্পী আনার চেয়ে নতুন পরিচালক, প্রযোজক, গল্পকার, টেকনিশিয়ান খুঁজে আনা দরকার। তাহলে অথর্ বা ভালো গল্পের অভাবে আমাদের ছবি আটকে থাকবে না।

পূণির্মা :

নতুন মুখ অবশ্যই প্রয়োজন। আরো অনেক নতুন শিল্পী আসা উচিত। আমি স¤প্রতি ‘কে হবে মাসুদ রানা’ শিরোনামের রিয়েলিটি শোর বিচারক হয়েছি। চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে এই শোর বিভিন্ন রাউন্ডে বিচারক হিসেবে কাজ করব। আমরা এমনই একজন হিরোকে রিয়েলিটি শোর মাধ্যমে বেছে নেব, যে নায়ক হিসেবে অনেকদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে যাবে।

বাপ্পী চৌধুরী :

চলচ্চিত্রে অবশ্যই নতুনদের দরকার আছে। তবে তার আগে চলচ্চিত্রে অথর্ লগ্নিকারক, ভালো পরিচালক ও ভালো গল্প বেশি দরকার। আমি বা আমরা কিন্তু এখন নতুনদের তালিকায় নেই। একটু বয়স হয়েছে। আমরা যখন চলচ্চিত্রে এসেছি তখন দশর্ক আমাদের লুফে নিয়েছিল। কিন্তু বতর্মান চলচ্চিত্রে দশের্কর রুচিবোধের পরিবতর্ন হয়েছে।