টুনির মতো চরিত্রের অপেক্ষায় শশী

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শারমিন জোহা শশী
বিনোদন রিপোটর্ জহির রায়হানের কালজয়ী উপন্যাস ‘হাজার বছর ধরে’। এই উপন্যাসের নায়িকা টুনি। শিকদার বাড়ির বৃদ্ধ মকবুলের অষ্টাদশি বউ টুনির মনটা মকবুলের শাসন মানতে চায় না। সে চায় খোলা আকাশের নিচে বেড়াতে, হাসতে, খেলতে। তাই সঙ্গী হিসেবে বেছে নেয় অল্প বয়সী সুঠামদেহী মন্তুকে। টুনি আর মন্তু সবার অগোচরে রাতের বেলায় মাছ ধরতে যায়। বষার্য় বিলে যায় শাপলা তুলতে। এমনি করে এক সময় টুনি-মন্তু দুইজন-দুইজনার কাছে এসে যায়। অব্যক্ত ভালোবাসার জোয়ারে ভাসে ওরা দুইজন। কিন্ত কেউ মুখ ফুটে বলতে পারে না মনের কথা, লোক লজ্জার ভয়ে। সমাজের রক্ত চক্ষু ওদের দূরে রাখে। সেই টুনি আর মন্তুর ভালোবাসা রূপালী পদার্য় চিত্রায়ন হয়েছিল ২০০৫ সালে। কোহিনূর আক্তার সুচন্দা পরিচালিত ‘হাজার বছর ধরে’ সিনেমায় টুনি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শারমিন জোহা শশী। ছবিতে তার অভিনয় দশর্কপ্রিয়তা লাভ করে। চলচ্চিত্রের বোদ্ধাদের কাছেও তিনি বেশ প্রশংসিত হন। কিন্তু এই একটি ছবির পর এখন পযর্ন্ত তাকে আর কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করলেও চলচ্চিত্রে নেই তিনি। চলচ্চিত্রে উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়ী হয়েও তার না থাকা প্রসঙ্গে শশী বলেন, ‘হাজার বছর ধরে মুক্তি পেয়েছে আজ থেকে এক যুগেরও বেশি সময় আগে। কিন্তু দশর্ক এখনো টুনি চরিত্রকে মনে রেখেছেন। আমি এখনো বিভিন্ন জায়গায় শুটিংয়ে গেলে টুনি চরিত্রের জন্য সাড়া পাই, দশর্ক আগ্রহ নিয়ে টুনির কথা বলেন। এই যে ভালোবাসা, এই যে প্রাপ্তি, এটা পুরস্কারের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। টুনির মতো চ্যালেঞ্জিং চরিত্র পেলে আমি ফের চলচ্চিত্রে কাজ করতে চাই, আরও অনেক বেশি নিবেদিত হয়ে আমি কাজ করব। যদিও চলচ্চিত্রের প্রস্তাব প্রায়ই আসে, কিন্তু বিগত একযুগেরও বেশি সময় টুনির মতো এই ধরনের চরিত্রে কাজ করার প্রস্তাব আসেনি। সেসব চলচ্চিত্রের গল্প ও চরিত্রে নিজেকে মানাতে পারিনি। তাই চলচ্চিত্রে আর আমাকে দেখা যায়নি। টুনির মতো চরিত্রের অপেক্ষায় আছি।’ ২০০৫ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার পেয়েছিল ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্রটি। অনেকেই মনে করেছিলেন, শশীও হয়ত টুনি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভ‚ষিত হবেন। কিন্তু তা আর হয়নি। অবশ্য, এতে শশীর মন খারাপ হয়নি। কারণ, টুনি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য এখন পযর্ন্ত দশর্ক তার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো শ্রদ্ধাভরে কৃতজ্ঞতা জানাই সূচন্দা ম্যাডামকে। কারণ, তিনি আমাকে অভিনয়ের অনেক কিছুই শিখিয়েছেন, যেটা পরবতীের্ত আমার পথচলায় অনেক কাজে লেগেছে।’ অভিনেত্রী শশী এখন ছোটপদার্য় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সম্প্রতি দেশ টিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ শিরোনামের নতুন একটি ধারাবাহিক। এটি পরিচালনা করেছেন শাহিন সরকার। এ ছাড়াও বিভিন্ন চ্যানেলে তার একাধিক ধারাবাহিক প্রচার হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিকগুলো হলো এসএম শাহীনের ‘সোনাভান’, দেবাশীষ বড়ুয়া দ্বীপের ‘ভালোবাসা প্রেম নয়’ ও সালাহউদ্দিনের ‘মায়া মসনদ’, রুলিন রহমানের ‘ভালোবাসা কারে কয়’ ও শাহীন সরকারের ‘জ্ঞানী গঞ্জের পÐিতেরা’। প্রতিটি নাটকে শশী বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।