সাক্ষাৎকার

এখন গানের গভীরতা কম

জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী। অসংখ্য গান গেয়ে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন অনেক আগেই। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রবি চৌধুরী
গানে গানে সময়... এখন কনসাটের্র ব্যস্ততা কম, তবে বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে গান করছি। এর পাশাপাশি নতুন একটি অ্যালবামের কাজ নিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি। উপমহাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতার কথা ও সুরে এ অ্যালবামে গান থাকছে মোট আটটি। এটি হবে আমার ৬৫তম অ্যালবাম। ‘নচিকেতার সুরে রবি’ শিরোনামের এ অ্যালবামের বাকি কাজ শেষ করে দ্রæতই প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে। আমার প্রথম অ্যালবাম ছিল ‘প্রেম দাও’। এটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। প্লেব্যাক... হিসেব করে বলতে পারব না তবে ৭০ থেকে ৮০টি সিনেমায় গান করেছি বলে মনে হয়। সবর্প্রথম ‘আন্দোলন’ ও সবের্শষ নাগির্স আক্তারের পরিচালনায় ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেছিলাম। এরপর কোনো সিনেমায় গান করা হয়নি। মিউজিক ভিডিও... আমি ব্যক্তিগতভাবে অডিও ক্যাসেট কিংবা সিডির সময়টাকে মিস করি। কারণ, সে সময় রমরমা অবস্থা ছিল। উৎসবগুলোতে বিভিন্ন শিল্পীর ক্যাসেট কিংবা সিডি বের হতো। সেই সময়টা এখন নেই। পরিবতর্ন হয়েছে। সময়ের সঙ্গে প্রতিটি বিষয়ে পরিবতর্ন আসবে এটাই স্বাভাবিক। ভালো গান মিউজিক ভিডিও ছাড়াও মানুষ শোনেন এটাও ঠিক। তবে, ভালো গানের মিউজিক ভিডিও করা যেতে পারে। কিন্তু যত্রতত্র গানের ভিড়ে ভালো গানের সংখ্যা খুবই কম। এখন শ্রোতারা আরও সহজে গান শুনতে পারছে, এটা ভালো। তবে প্রযুক্তির অপব্যবহার না হয় সেটিই আমি চাইব। অতীত ও বতর্মানের গান... প্রযুক্তির বদৌলতে এখন অনেক কিছুই সহজ হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের সময় তা ছিল না। আমাদের মধ্যে শেখার আগ্রহটা বেশি ছিল কিন্তু এখন উলটো, আগ্রহ নেই বরং তারকা হওয়ার ইচ্ছেটা অনেক বেশি। আমরা শ্রোতাদের ভালোবাসা পেয়েছি কিন্তু তাতে কখনো গবর্ কিংবা অহংকার করিনি। কারণ অহংকার করলে ওখানেই সব শেষ হয়ে যাবে। নতুনদের অনেকের মধ্যে এই তারকা ভাবটা থাকে বলেই তারা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এটা ঠিক নয়। বতর্মান গানের স্থায়িত্ব কম। গানের কথায় ভালো-মন্দ দুটো থাকলেও সুরের বেলায় কোনো বৈচিত্র্য নেই। মনে হয় ঘুরেফিরে একই সুরে গান শুনছি। কিন্তু আগের গানে তা ছিল না। গানের কথা, সুর ও শিল্পীর কণ্ঠ সব মিলিয়ে দারুণ লাগত। তাইতো আগের গান কালজয়ী হয়ে আছে। কিন্তু এখন গান হচ্ছে অনেক তবে, গানের গভীরতা অনেক কম। আজ শুনলে কাল ভুলে যাওয়ার মতো। গানের কথার দিকে আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। শুদ্ধ উচ্চারণের শূন্যতাও রয়েছে। গানের শুরু... অনেকেই পারিবারিকভাবে সংস্কৃতি পরিবেশে বেড়ে ওঠে কিন্তু আমার বেলায় তা হয়ে হয়নি। নিজ উদ্যোগেই গান নিয়ে এগিয়েছি। পরিবার থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা ও সমথর্ন পাইনি। ছোটবেলা থেকেই আমার গানের প্রতি প্রচÐ দুবর্লতা ছিল। একেবারে গান পাগল ছিলাম। স্কুলজীবন থেকেই গান করতাম। এভাবেই গানের পিছনে ছুটতে ছুটতেই এত দূর আসা।