সায়নীর পাশে মুখ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
সায়নী ঘোষ
ভারতীয় অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গে বিজেপি নেতা তথা মেঘালয়, ত্রিপুরা ও অরুণাচল প্রদেশের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়ের টুইটার যুদ্ধ এখন চরমে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জল গড়িয়েছে প্রশাসনের দোরগোড়ায়। গত ১৬ জানুয়ারি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে রবীন্দ্র সরোবর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তথাগত। আর এই লড়াইয়ে সায়নীর পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'স্বাধীন মতামত প্রকাশ করেছিল বলে সায়নী নামে এক অভিনেত্রীকে ধমকানো হচ্ছে। কিন্তু এভাবে বাংলাকে ধমকানো যাবে না। ধমকালে লিউকোপস্নাস্ট দিয়ে মুখ বন্ধ করে দেবে বাংলার মানুষ। ক্ষমতা থাকলে সায়নীর গায়ে হাত দিয়ে দেখাক, টলিউডের গায়ে হাত দিয়ে দেখাক।' এরপর তথাগতর নাম না করে মমতা কটাক্ষ করেন, 'নাতনির বয়সি একটা মেয়েকে প্রতিদিন হুমকি দিচ্ছেন, তারা ভেবেছেন কী? বিরুদ্ধে বললেই মানুষকে ধমকাতে, চমকাতে হবে!' ২০১৫ সালে করা সায়নীর একটি টুইটকে কেন্দ্র করে এই লড়াই। তথাগতর অভিযোগ, সায়নীর সেই পোস্টের ফলে তার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। শুধু তথাগতই নন, বেঙ্গালুরু ও অসম থেকেও দু'জন ব্যক্তি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে সায়নী টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি ২০১৫ সালের টুইটটির বিষয়ে অবগত ছিলেন না। তিনি আরও জানিয়েছেন, নিজের ধর্মকে আঘাত করার কোনো ইচ্ছে তার নেই। পুরো বিষয়টি নিয়ে তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিনেত্রীর পাল্টা অভিযোগ। এই ধরনের আচরণকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলেছেন সায়নী। এদিকে, বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক উত্তেজনা এখন আর পাড়ার চায়ের দোকানে কিংবা রকের আড্ডায় থেমে নেই। সংবাদমাধ্যম থেকে এখন সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পৌঁছে গেছে সেই দ্বন্দ্ব। বাংলার একের পর এক শিল্পীকে রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। মন্তব্য পছন্দ না হলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বইছে একদল নেটিজেনের কুকথার স্রোত। অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত একটি টেলিভিশন শো-তে ব্যক্তিগত মত পোষণ করে গায়ক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছিলেন। তাতেই চটেছেন একদল নেটনাগরিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। দেবলীনা ও তার স্বামী অভিনেতা-পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায় লালবাজারের সাইবার সেলে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন। এছাড়াও বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের গোচরে আনা হয়েছে।