দশ বছরেও মুক্তি মেলেনি

অনুদানের 'কাকতাড়ুয়া'

প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
'কাকতাড়ুয়া' চলচ্চিত্রের দৃশ্য
প্রায় এক দশক পেরিয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি সরকারি অনুদানের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র 'কাকতাড়ুয়া'। বাংলাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের গল্প অবলম্বনে এ চলচ্চিত্রটি নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পায় ২০১২ সালে। অনুদান পাওয়ার পর শুটিংয়ের জন্য মাঠেও নেমেছিলেন পরিচালক ফারুক হোসেন। এ চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী মাজেদ চৌধুরীর ছেলে মুহিত চৌধুরী। এছাড়া এই সিনেমাতে আরও অভিনয় করেছিলেন জামিলুর রহমান শাখা, শাহনূর, ইলোরা গহর, রেবেকা, নাজমুল, আহমেদ শরীফসহ আরও অনেকে। কিন্তু দীর্ঘ এত বছরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি ছবিটি। এ নিয়ে পরিচালক ফারুক হোসেন বলেন, 'কাকতাড়ুয়া সিনেমাটি আরও তিন বছর আগে শেষ হয়েছে। এরপর আমার স্ত্রী মারা যায়। তার কিছুদিন পর আমার মারা যান মা। এরপর আবার আমার হার্টের সমস্যা দেখা দেয়। এই সিনেমা নির্মাণের জন্য আমি পেয়েছিলাম ২৪ লাখ টাকা। পরে আমি নিজেও আরও ত্রিশ লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। এফডিসি একটি মোটা অঙ্কের টাকা বিল পায় বিধায় এফডিসি থেকে আমাকে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে না। যে কারণে আমি সিনেমাটি মুক্তি দিতে পারছি না।' তবে এ সিনেমার শিল্পী ও কলাকুশলীরা তেমন কোনো পারিশ্রমিকই পাননি বলে অনেকের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় চরিত্র মুহিতর বাবা মাজেদ চৌধুরী জানান তার ছেলেকে কোনো পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি। এই সিনেমায় স্থির চিত্রগ্রাহক আবু শহীদ বলেন, 'আমাকে যে পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা ছিল তার চার ভাগের এক ভাগ দেওয়া হয়েছে।' শাহনুর বলেন, 'এটি আমার অভিনয় জীবনের অন্যতম একটি সিনেমা। সিনেমাটি মুক্তি পেলে আমার জন্য একটি মাইলফলক সিনেমা হয়ে থাকত।' কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, 'এটি নবম দশম শ্রেণির জন্য পাঠ্যগল্প। এটি একটি শশুতোষ চলচ্চিত্র হিসেবে নির্মাণের জন্য এর আগে অনুদানের জন্য জমা দেওয়া হয়। পরে খবর আর জানি না। তবে কিছুদিন আগে একই গল্প হারুন অর রশীদ সরকারি অনুদানের জন্য আবার জমা দিয়েছেন, এটা জানি।' 'কাকতাড়ুয়া'র মতো এমন অনেক চলচ্চিত্র আছে অনুদান পাওয়ার পর বছরের পর বছর কেটে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক সঠিক তদারকির অভাবে প্রতি বছরই এমনটি ঘটছে বলে মনে করেন চলচ্চিত্রবোদ্ধারা।