বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পরিচালক কবরী

বিনোদন রিপোর্ট
  ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০০:০০

তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন কবরী। যখন পুরোদমে সিনেমায় যুক্ত ছিলেন তখন সিনেমা নিয়েই ভেবেছেন। দ্বিতীয় আর কিছু নয়। কারণ দুই নৌকায় পা রেখে এগিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী তিনি কখনোই ছিলেন না। যখন দেখলেন নায়িকা হিসেবে দর্শককে আর কোনো সিনেমা দিতে পারছেন না, বা তেমন বয়সেও নায়িকা হিসেবে কিছু করা যায় এমন কোনো গল্পও কোনো নির্মাতার হাতে নেই তখনই আবির্ভূত হলেন ভিন্ন পরিচয় নিয়ে। নায়িকা থেকে নির্মাতা কবরী। মাঝে একপর্যায়ে রাজনীতিকও। তা কেমন স্বপ্নের মতো ছিল তার এই ভিন্ন পরিচয়ের ক্যারিয়ার?

২০০৫ সালে পরিচালক হিসেবে প্রথম পথচলা কবরীর। 'আয়না' নামের ওই ছবিটির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আবির্ভাব হয়েছিল 'তিতাস একটি নদীর নাম'-এর কবরী সারোয়ারের। ছবিটির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি অভিনয়ও করেছিলেন। কিন্তু মনটা হয়তো আগে থেকেই ঝুঁকেছিল আরও বড় কিছু করার। বড় কিছুর মাধ্যমে কাজ করার। তখন ছবি পরিচালনা আর করবেন কি। ঢুকে পড়লেন রাজনীতিতে। ছবি পরিচালনা পড়ে থাক, অভিনয়টাই ছেড়ে দিলেন এক প্রকার। রাজনীতির মাঠ গরম করা নিয়ে মেতে উঠলেন। সংসদ সদস্যও হলেন। কিন্তু আঞ্চলিক রাজনীতিতে সুবিধা করে উঠতে পারলেন না চাটগাঁয়ের কন্যা কবরী সারোয়ার। বারবারই একের পর এক ঝগড়াঝাটি আর বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন। গন্ডারের সাথে ননীর পুতুল কি কখনো কুলিয়ে উঠতে পারে? অবশেষে রাজনীতিতেও প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেন।

ফিরলেন আবার চলচ্চিত্রে। সেই 'আয়না'র পর দীর্ঘ ১৪ বছর পর 'এই তুমি সেই তুমি' নামের তার দ্বিতীয় ছবিটি দিয়ে। ফিরলেন এবার সরকারি অনুদানে। গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন। বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা। দীর্ঘ ৪০ বছর পর তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন। ১৯৭৪ সালে তারা একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন 'মাসুদ রানা' ছবিতে। এরপর দীর্ঘ বিরতি। শুটিংও শেষ করে এনেছিলেন। গত ২৪ মার্চ ডাবিং শেষ করে অপেক্ষায় ছিলেন ছবিটির মুক্তির। সেই মুক্তি আর দেখা হলো না তার। গত বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর দিনে শুরু হয়েছিল 'এই তুমি সেই তুমি'র শুটিং। এরপর করোনার কারণে আটকে যায় শুটিং।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে