শ্রাবন্তীকে তালাক নোটিশ

স্বামী-স্ত্রীর পাল্টা অভিযোগ

শ্রাবন্তী অভিযোগ করে বলেন, ‘২৫ জুন দেশে আসার পর আমি রামপুরা বনশ্রীতে আলমের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাই। কিন্তু আমাকে আর বাচ্চাদের বাসায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। ঢাকায় আমার নিজের কোনো বাসা নেই। শেষে পরিচিতদের সহযোগিতায় এক মামাতো ভাইয়ের বাসায় যাই। এরপর এখন পযর্ন্ত আলম আমার ও বাচ্চাদের কোনো খেঁাজ নেয়নি...’

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

বিনোদন রিপোটর্
স্বামী ও দুই কন্যার সঙ্গে ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী
‘আমার সংসারটা বঁাচান। আমি সংসার ভাঙতে দেব না’ গতকাল গণমাধ্যমকে এভাবেই বললেন ছোট ও বড়পদার্র এক সময়ের জনপ্রিয় তারকা ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী। গত ৭ মে তাকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন স্বামী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। জানা গেছে, বগুড়া সদরের কালীতলার শিববাড়ি সড়কে শ্রাবন্তীর বাবার বাসার ঠিকানায় এই নোটিশ পাঠানো হয়। শ্রাবন্তী দীঘির্দন ধরে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী। গত ২৫ জুন তিনি দেশে ফিরেছেন। এখন আছেন বগুড়ায়। জানালেন, তার মা খুবই অসুস্থ। যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেই স্বামীর পাঠানো তালাকের এই নোটিশের খবর পেয়েছেন শ্রাবন্তী। এরপর দ্রæত দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে দেশে এসেছেন। তাদের বড় মেয়ে রাবিয়াহ আলমের বয়স সাত আর ছোট মেয়ে আরিশা আলমের সাড়ে তিন বছর। শ্রাবন্তী অভিযোগ করে বলেন, ‘২৫ জুন দেশে আসার পর আমি রামপুরা বনশ্রীতে আলমের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে যাই। কিন্তু আমাকে আর বাচ্চাদের বাসায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। ঢাকায় আমার নিজের কোনো বাসা নেই। শেষে পরিচিতদের সহযোগিতায় এক মামাতো ভাইয়ের বাসায় যাই। এরপর এখন পযর্ন্ত আলম আমার ও বাচ্চাদের কোনো খেঁাজ নেয়নি। গত এপ্রিল মাসে আলম যুক্তরাষ্ট্রে যায়। ওই সময় আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করেনি। আমার দুই বাচ্চা সেখানে সরকারের কাছ থেকে একটা নিদির্ষ্ট পরিমাণ অথর্ পায়। আলম আমাকে না জানিয়ে ব্যাংক থেকে সেই ছয় হাজার ডলার তুলে নিয়ে আসে। সেখানে বাচ্চাদের নিয়ে কীভাবে চলব, কী খাওয়াব, তা ভাবেনি। ও বাচ্চাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছে।’ দেশে ফেরার পর স্বামী খোরশেদ আলমের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন শ্রাবন্তী। কিন্তু বারবারই ব্যথর্ হচ্ছেন। তাই বগুড়া থেকে ৪ জুলাই মেয়েদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় ফিরবেন শ্রাবন্তী। এরই মধ্যে গত ২৬ জুন রাজধানীর খিলগঁাও থানায় তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নিযার্তন আর যৌতুকের মামলা করেছেন। স্বামীর বিরুদ্ধে শ্রাবন্তী অভিযোগ করে জানান, তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে আরেকটি মেয়ে চলে এসেছেন। সেই মেয়েটি মালয়েশিয়ায় থাকেন। আগে এনটিভিতে অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনিও বিবাহিত। এখন আলমের সঙ্গে প্রেম করছেন। সেই মেয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেন শ্রাবন্তী। তার স্বামীকেও নাকি সবকিছু জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বরং আলমের আচরণ পাল্টে যায়। এসব নিয়ে কথা বলায় আলম আমাকে মারধরও করেছে। খারশেদ আলম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত¡ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। পাশাপাশি তিনি এনটিভির মহাব্যবস্থাপক (অনুষ্ঠান) ছিলেন। গতকাল তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি অনেক ছাড় দিয়ে শ্রাবন্তীকে বিয়ে করেছিলাম। ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের দুটি বাচ্চা হয়েছে। শ্রাবন্তীর যেসব ব্যাপারে ছাড় দিয়েছি, তা থেকে শ্রাবন্তী এতটুকু সরে আসেনি। এতদিন আমি ব্যাপারগুলো সামনে আনতে চাইনি, কারণ তা আমাদের কারও জন্যই ভালো হবে না। দিনে দিনে আমাদের মধ্যে মানসিক দূরত্ব অনেক বেড়ে গেছে। পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস নেই বললেই চলে। যতটুকু অবশিষ্ট আছে, তা শেষ হওয়ার আগেই আমি সরে এসেছি। আমি চাইনি আমাদের সম্পকের্র ক্ষতিকর প্রভাব বাচ্চাদের ওপর পড়–ক।’ পরকীয়ার অভিযোগের ব্যাপারে খোরশেদ আলম বলেন, ‘আমার মায়ের চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়া গিয়েছিলাম। তখন ওই মেয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। এর বেশি কিছু না। শ্রাবন্তী এ ব্যাপারকে বড় করে দেখেছে।’ আবার ক্যামেরার সামনে দঁাড়ানো প্রসঙ্গে শ্রাবন্তী বলেন, ‘আমি খুব তাড়াতাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছি না। যেভাবেই হোক, আমি আমার সংসার রক্ষার চেষ্টা করব। ক্যামেরার সামনের জীবন আর না।’