সাক্ষাৎকার

মরণোত্তর চোখ দান করতে চাই

ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। বতর্মানে একাধিক চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। সম্প্রতি ‘সাপলুডু’ ও ‘জ্যাম’ ছবি দুটিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তিনি। বতর্মান ব্যস্ততা ও অভিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি-

প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আরিফিন শুভ
তিন মাস পর... কলকাতার ‘আহা রে’ ছিল আমার সবের্শষ অভিনীত ছবি। রঞ্জন ঘোষ পরিচালিত এই ছবির খবর তা-ও মাস তিনেক আগের। এর মধ্যে অনেক ছবির প্রস্তাবই ছিল। কিন্তু করতে রাজি হইনি। ব্যবসায়ী নই, আমি একজন অভিনয়শিল্পী। দশর্করা ঠকবেন, সে ধরনের ছবিতে আর কাজ করতে চাই না। এ কারণেই অপেক্ষা করছিলাম। সাপলুডু... গত ২ সেপ্টেম্বর ‘সাপলুডু’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ছবিটি পরিচালনা করছেন গোলাম সোহরাব দোদুল। আমার নায়িকা থাকবেন বিদ্যা সিনহা মিম। ছবিটি অ্যাকশন-থ্রিলারধমীর্। ছবির গল্প শুনে মনে হয়েছে, দশর্ক এনজয় করবে। নতুন একটা ডাইমেনশন থাকবে। যেহেতু এতদিন পরে একটা ছবি হাতে নিয়েছি, গল্প অনুযায়ী চরিত্রের ডিজাইন হবে। এজন্য আমাকে অনেক প্রস্তুতি নিতে হবে। ছবিটি এ বছরের ওয়ান অব দ্য বিগেস্ট অ্যাকশন-থ্রিলার ফিল্ম হতে যাচ্ছে। গতানুগতিক ধারার অ্যাকশন না কিন্তু। শুটিং লোকেশন... ছবির গল্পটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে। এ মাসেই শুটিং শুরুর কথা রয়েছে। পুরো ছবির শুটিংও দেশের বিভিন্ন জায়গায় হবে। টেকনাফ, রাঙামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় কাজ হবে। এ রকম গল্পে দশর্ক এর আগে এ ধরনের চরিত্র দেখেননি। বিষয়টা বেশ এক্সপেরিমেন্টাল। আমি নিজেও বেশ আশাবাদী কাজটা নিয়ে। দেখি, কী হয়। জ্যাম... জ্যাম ছবিটি আমাদের সবার প্রিয় নায়ক অকালপ্রয়াত মান্নার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘কৃতাঞ্জলি’ থেকে নিমির্ত হচ্ছে। এতে আমার বিপরীতে আছেন পূণির্মা। সম্প্রতি এর মহরত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, শেলী মান্না, ঋতুপণার্ সেনগুপ্ত, ফেরদৌস ও পূণির্মা, সুচন্দা, এটিএম শামসুজ্জামানসহ অনেকে। ছবিটি পরিচালনা করবেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল। এ ছবির মূল ভাবনা প্রয়াত আহমেদ জামান চৌধুরীর। আর ছবির কাহিনী বিন্যাস করেছেন শেলী মান্না। ছবির সংলাপ ও চিত্রনাট্য করেছেন পান্থ শাহরিয়ার। মহৎ উদ্যোগ... মরণোত্তর চোখ দান করতে চাই। তবে কোন স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান মৃত্যুর পর চোখ সংরক্ষণ করবে সেটা ঠিক হয়নি। আমার মৃত্যুর পর যদি আমার শরীরের কোনো অঙ্গ অন্য একজন মানুষের জীবন বদলে দিতে পারে এর থেকে বড় আনন্দের বিষয় আর কি হতে পারে? সে কারণে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি মরণোত্তর চোখ দান করার। বাংলাদেশে যদি চোখ দান না করতে পারি তাহলে অন্য দেশে করব।