যেমন চলছে বর্তমান সময়...
আছি ভালো, আলহামদুলিলস্নাহ। সাংগঠনিক ব্যস্ততার মধ্যেও চার-পাঁচটি সিনেমার কাজ শেষ করলাম। আরও কিছু নতুন সিনেমায় কাজ করার প্রস্তাব আছে। তবে করোনাকালের পরিস্থিতির কারণে কাজগুলো পিছিয়ে যাচ্ছে।
বড় পর্দা ছেড়ে দর্শক যখন মুঠোপর্দামুখী...
আপনার এই বিষয়টা নিয়ে আমি আরও অনেক আগেই অনেকের সঙ্গে শেয়ার করেছি। এই মুঠোপর্দা কখনোই বড়পর্দার বিকল্প হতে পারবে না। বড়পর্দায় সিনেমা দেখার মধ্যে যে আকর্ষণ ছিল, মুঠোপর্দায় সেই আকর্ষণ কখনোই তৈরি হতে পারে না। বড় পর্দা ঘিরে মানুষের মনে যে স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্নটা মরে গেছে এই মুঠোপর্দায় এসে। আলটিমেটলি এতে সিনেমারই ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিল্পীরাও আর্থিকভাবে।
বিশ্বে এখন একই সংকট...
পণ্যের সরবরাহ অঢেল হলে পণ্যের দাম, মান সবই কমে যায়।
আসলে এই সংকট শুধু বাংলাদেশেই না, সারা বিশ্বেই এখন এই একই সংকট চলছে। মোট কথা, বিশ্ব সিনেমা এখন ধুঁকছে। প্রযুক্তির ইতিবাচক দিক যেমন আছে, পাশাপাশি এর, নেতিবাচক দিকও আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সারা বিশ্বেই প্রযুক্তির এই বিশ্বায়নের কারণে সিনেমা প্রচন্ডভাবে মার খাচ্ছে। বিশ্বায়নের প্রভাবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। যে কারণে এখন সবকিছুই তুচ্ছ, সাধারণ মনে হয়।
এফডিসিই আমার ঘরবাড়ি
এফডিসি হচ্ছে আমার এবং আমাদের ঘর-সংসার। একটি সংসারের সবাই তো সমান সচ্ছল হয় না। এখন করোনাকালে এই সংসারের কেউ যদি বিপদে পড়ে এবং আমরা যদি তাদের পাশে না দাঁড়াই, তাহলে বাইরের কেউ কি এসে দাঁড়াবে? কাজেই আমি যদি নিজেকে নিয়েই স্বার্থপরের মতো ব্যস্ত থাকতাম, তাহলে এই করোনাকালে দুঃস্থ ও সহশিল্পীদের পাশে কীভাবে দাঁড়াতে পারতাম? সংগঠনগুলো আছে বলেই তো এখনও সিনেমা হচ্ছে। এখনও শিল্পীরা এফডিসিতে আসা-যাওয়া করছে। নয়তো বাংলা সিনেমা আরও বহু আগেই বন্ধ হয়ে যেত।
এ প্রেক্ষাপটেও স্বপ্ন দেখি...
আমি নিতান্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা সন্তান। এমন পরিবারের কেউ নিজে নিজে কোনো স্বপ্ন দেখে না। বাবা-মা সন্তানকে নিয়ে যেমন স্বপ্ন দেখেন, সেভাবেই আমার
স্বপ্ন দেখা শুরু হয়।
পরিবারের দেখানো সেই স্বপ্ন দেখা বাদ দিয়ে আমি সিনেমায় এসেছি। এখন বাংলা চলচ্চিত্রের সংকটে একটা ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখি। কিন্তু এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন একার পক্ষে তো সম্ভব হবে না। অন্যদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।