শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শুভ জন্মদিন গাজী রাকায়েত

বিনোদন রিপোর্ট
  ১৫ জুন ২০২১, ০০:০০

দেশের প্রথিতযশা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী রাকায়েত। একাধারে তিনি একজন অভিনেতা, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক। আজ তার জন্মদিন। ১৯৬৬ সালের ১৫ জুন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন গাজী রাকায়েত। তার পড়াশোনা শুরু হয় গেন্ডারিয়ায়। তিনি ১৯৮৩ সালে গেন্ডারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৮৫ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। গাজী রাকায়েত ১৯৯৩ সালে খ ম হারুনের পরিচালিত সংগীত পদযাত্রা নাটকের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন। এরপর তিনি অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন এবং নাটক পরিচালনা করেছেন। তার অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে একজন আয়নাল লস্কর, সাকিন, জন্মসূত্র, চিঠি, বৃষ্টি রাতের গল্প, অনিরুদ্ধ, সাম্প্রতিক একটি আত্মহত্যার কথা উলেস্নখযোগ্য। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথম তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত 'নদীর নাম মধুমতী' চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৬ সালে মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত 'খেলাঘর' এবং ২০০৭ সালে এনামুল করিম নির্ঝর পরিচালিত 'আহা!' চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর তিনি মুরাদ পারভেজ পরিচালিত চন্দ্রগ্রহণ (২০০৮), সাদিক আহমেদ পরিচালিত দ্য লাস্ট ঠাকুর (২০০৮), মোরশেদুল ইসলাম পরিচালিত প্রিয়তমেষু (২০০৯) ও আমার বন্ধু রাশেদ (২০১১), নাসির উদ্দীন ইউসুফ পরিচালিত গেরিলা (২০১১) ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন। এছাড়া ২০১৪ সালে খালিদ মাহমুদ মিঠু পরিচালিত জোনাকির আলো চলচ্চিত্রে চিত্রকর এস এম সুলতানের চরিত্রে অভিনয় করে সমাদৃত হন।

অভিনয় ও নাট্য নির্মাণের পাশাপাশি গাজী রাকায়েত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তার নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- ঘুণ (২০০৪) এবং জীবনমৃত (২০০৫)। ২০১৩ সালে তার নিজের রচনায় নির্মাণ করেন তার প্রথম ছায়াছবি মৃত্তিকা মায়া। চলচ্চিত্রটি ২০১৫ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ রেকর্ড ১৭টি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে। তিনি দীর্ঘদিন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে মঞ্চে কাজ করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে