বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

তারকা শিল্পীদের ওপর নির্ভরশীল নই

সালাহউদ্দিন লাভলু- তিনি শুধু স্বনামধন্য অভিনেতাই নন, একজন সৃজনশীল পরিচালক ও চিত্রনাট্যকারও। অভিনয় ও পরিচালনা- দুটো বিভাগের সৃষ্টিশীলতাই তার প্রাণ। জীবনের প্রথম চলচ্চিত্র 'মোলস্না বাড়ির বউ' নির্মাণ করেও খ্যাতি অর্জন করেন এ পরিচালক। তার এই সৃষ্টিশীলতার নানা দিক নিয়ে কথা হয় যাযাদির সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ০৪ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

লকডাউনে কাজের প্রস্তুতি চলছে কেমন?

কাজের প্রস্তুতি চলবে কি করে! সুস্থ আছি এটাই বড় কথা। জীবনযাত্রা আগে স্বাভাবিক হোক তারপর এ নিয়ে ভাবব। এখন দুটো ওটিটি ফিল্মে অভিনয় করতে যাচ্ছি। চিত্রনাট্য প্রস্তুত থাকলেও আমার দুটি সিরিয়াল শুরু করছি না। এখন আমাকে ওটিটি ফিল্মের জন্য সময় দিতে হবে। এজন্য মাস খানেক সময় লাগবে।

প্রথম সিনেমা পরিচালনায় বাজিমাত

করেও থেমে আছেন কেন?

ঐ সিনেমাটার পরপরই আমার নতুন সিনেমা বানানোর কথা ছিল। কিন্তু আমার যে বাজেট বা প্রোপোজাল ছিল, সেটা না পাওয়ায় তা বানাতে পারিনি। আর এখন তো সিনেমা হলগুলোই বন্ধ। বড় পর্দার জন্য কাজ করতে গেলে তো অন্তত বছর খানেক ইনভলবমেন্ট লাগে। কিন্তু আমার রেগুলার কাজ নাটক করা, সিনেমা নয়। তার ওপর যেনতেন বাজেটের সিনেমা বানিয়ে আমি তো আমার সেই অর্জনটাকে ধূলিস্যাৎ করতে পারি না।

টিভি নাটকে একঝাঁক নতুন পারফরমার এসেছেন। তাদের কাজ কি ইতিবাচক

বলে মনে করেন?

আমি তো নতুনদের নিয়েই কাজ করি। আমার সব সিরিয়ালেই দেখবেন নতুন ছেলে-মেয়েরা কাজ করে। তাদের নিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধও করি। তারা সিনসিয়ারলি কাজটা করে। সময়টা দেয়। মনোযোগ দিয়ে কাজটা করে। তাতে করে নতুন শিল্পী তৈরি হয়। ইন্ডাস্ট্রিটা কন্টিনিউ করতে পারে। সেটাই করি। সেভাবেই চেষ্টা করছি।

নির্মাতা হিসেবে নিজেকে কতটুকু স্বাধীন

বলে মনে করেন?

আমি আমার নাটকের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা পাই। আমি যে একটা সিনেমা নির্মাণ করেছি, সেখানেও আমার পূর্ণ স্বাধীনতা ছিল। সেক্ষেত্রে পরিচালনার কাজে আমি পূর্ণ স্বাধীনতাই ভোগ করি। এ ক্ষেত্রে আমার প্রবলেম হয় না। কারণ, আমি তারকা শিল্পীদের ওপর নির্ভর করি না।

সাম্প্রতিক নাটক বা সিনেমায় হাস্যরসের বিষয় কমে আসছে। এটাকে কীভাবে দেখছেন?

আসলে একেক সময়ে একেক ট্রেন্ড চালু হয়। এখন তো বেশিরভাগ নাটক থেকেই পরিবার উঠে গেছে। দু-একটা চরিত্রের ওপর নাটকটা হয়। ফলে ওই বিষয়টা থাকছে না। আর হাস্য রসাত্মক নাটক বানানোও খুব কঠিন। শিল্পের সবচেয়ে সূক্ষ্ণ জায়গাটিই কিন্তু কমেডি। সবাইকে দিয়ে তা হয়ও না। এখন তো এটা প্রপারলি ভাঁড়ামোর পর্যায়ে চলে গেছে।

নাটকে অনিয়মিত হয়ে পড়লেন কেন? আপনি তো ভালো দর্শকপ্রিয় অভিনেতাও...

পেশা হিসেবে আমি নাটক পরিচালনাই বেছে নিয়েছি। তাতে প্রচুর সময় দিতে হয়। এজন্য সিরিয়াল নাটক করতে পারি না। তবে এখন মাঝে মাঝে সিঙ্গেল নাটকে অভিনয় করব বলে মনস্থির করেছি।

ওটিটি মাধ্যমের ভবিষ্যৎ কেমন মনে করছেন?

দেখেন, ওটিটি এমনই যে- এটা একটা আন্তর্জাতিক মাধ্যম। এখানে যেনতেন কাজ করে পার পাওয়া যাবে না। এটা যদি প্রপারলি ব্যবহার করা যায়, তাহলে এ মাধ্যমে বড় কিছু হবে বলে আমার মনে হয়। আর এটা তো মাত্রই শুরু হলো। হইচই, চরকি- এ তো মাত্র শুরু হলো। ভালো কিছু করতে হলে তাতে আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হতে হবে। এজন্য এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে