সাক্ষাৎকার

পরিচালনায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে নেই

টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ। পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করছেন। সম্প্রতি নাটক পরিচালনা করছেন। অভিনয়, পরিচালনা ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গেÑ

প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফারুক আহমেদ
লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন... উত্তরায় ইমরাউল রাফাতের নিদের্শনা ‘সিনেমাটিক’ নাটকের শুটিং করছি। এ ছাড়াও অনিমেষ আইচের ‘গুড ব্যাড আগলী’ ও ‘জোছনাময়ী’, ফরিদুল হাসানের ‘কমেডি ৪২০’, মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রসের হাড়ি’সহ বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার চলতি বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। কচি খন্দকারের পরিচালনায় নতুন একটি ধারাবাহিকে কাজ শুরু করব। খÐ নাটক... ধারাবাহিকের ব্যস্ততায় খÐ নাটকে কাজ করার সুযোগ কম হয়। সম্প্রতি আমার নিজের লেখা ও নয়ন বাবুর পরিচালনায় ‘বদরাগী বদরুল’ শিরোনামের একটি খÐ নাটকে অভিনয় করেছি। এ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছি। পরিচালনা... ২০০৯ সালে প্রথম টেলিভিশন নাটক পরিচালনা করেছিলাম। ‘ডিগবাজি’ নামের এ নাটকের শুটিং হয়েছিল লন্ডনে। সম্প্রতি ‘মেঘেদের সংসার’ শিরোনামে নতুন একটি ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করছি। নাটকের গল্পটিও আমার লেখা। ইতিমধ্যে এর ১০ পবের্র শুটিং শেষ হয়েছে। ১৩ পবর্ শেষ করে শিগগিরই নাটকটি একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে প্রচারের জন্য জমা দেব। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের জন্য ‘লাশ’ নামের একটি নাটক পরিচালনা করব। নভেম্বরে এর শুটিং হবে। এ নাটকের মূল বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক লিখলেও পরিচালনায় নিয়মিত হওয়ার ইচ্ছে নেই। নতুন চলচ্চিত্র.. নাটকের পাশাপাশি ৬-৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। প্রায়ই চলচ্চিত্রে কাজের প্রস্তাব পেলেও গল্প ভালো না লাগায় অভিনয় করা হয় না। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের ‘শ্যামল ছায়া’ ছবিতে সবর্প্রথম কাজ করেছিলাম। আর আমার অভিনীত সবের্শষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি অনিমেষ আইচের ‘ভয়ংকর সুন্দর’। তৌকির আহমেদের ‘ফাগুন হাওয়া’ ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। ভিন্ন চরিত্র... সাধারণত কমেডি চরিত্রেই আমাকে বেশি দেখা যায়। সব সময় একই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে ভালো লাগে না। কিন্তু পরিচালকরা চান বলেই কমেডি চরিত্রে অভিনয় করা হয়। তবে মাঝেমধ্যে ভিন্ন চরিত্রেও অভিনয় করি। যেমন-মোস্তফা কামাল রাজের ‘তারকঁাটা’ চলচ্চিত্রে আমি খলচরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। ‘বদরাগী বদরুল’ নাটকে আমাকে কড়া মেজাজের লোক হিসেবেই দেখা যাবে। আবৃত্তি চচার্.. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটকে কাজ করার পাশাপাশি কবিতা আবৃত্তি নিয়েও কাজ করেছি। তখন একটি আবৃত্তি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। ছোটবেলা থেকেই আবৃত্তি চচার্ করতাম। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের মৃত্যুর পর তাকে উৎসগর্ করে ২০১৫ সালে ‘অবাক জোছনা’ শিরোনামে একটি আবৃত্তির অ্যালবাম প্রকাশ করি। এখানে হুমায়ূন স্যারের কবিতাসহ ১৫টি কবিতা ছিল। নিজে থেকেই এই অ্যালবামটি প্রকাশ করে অন্যদের উপহার দিয়েছি।