সা ক্ষা ৎ কা র

দায়বদ্ধতা থেকেই সচেতনতামূলক কাজ করি

দুই বাংলার তারকা ফেরদৌস। সম্প্রতি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি মাঝে মাঝেই বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে দেখা যায় তাকে। অনেকদিন ধরে সচেতনতামূলক ও সামাজিক উন্নয়ন কমর্সূচিতেও অংশগ্রহণ করছেন তিনি। সব বিষয়েই কথা হলো তার সঙ্গে-

প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফেরদৌস
এইসব দিন রাত্রি... অভিনয় এবং বিভিন্ন কমর্সূচিতে অংশগ্রহণ আর সংসার নিয়েই কেটে যাচ্ছে বতর্মান সময়। যতটুকু সময় অবসর পাই, তার পুরাটাই সংসারে দেয়ার চেষ্টা করি। আমার মেয়েটা চোখের সামনে বড় হয়ে যাচ্ছে। ওর কাছে থাকতে পারলে আমার খুব ভালো লাগে। ও যখন আমার সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়ায়, তখন বিচিত্র একটা অনুভূতি হয়। চলচ্চিত্র প্রসঙ্গ... আগের তুলনায় চলচ্চিত্রে অভিনয় অনেক কমিয়ে দিয়েছি। কলকাতার ছবিও হাতে নিচ্ছি না তেমন। কেবলমাত্র ভিন্ন কিছু হলেই অভিনয়ে রাজি হচ্ছি। এখন আমার ক্যারিয়ারের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার চেষ্টা করছি। তাছাড়া ঢালাওভাবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার বয়স এবং মনমানসিকতা এখন নেই। এখনকার গৎবঁাধা রোমান্টিক ছবিগুলোও আমাকে আর টানে না। সম্প্রতি ‘সেইফ লাইভ’ নামের একটি চলচ্চিত্রে কাজ করছি। বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে আমার ‘পোস্টমাস্টার ’৭১ চলচ্চিত্রটি। এতে আমার বিপরীতে আছেন মৌসুমী। নতুন বিজ্ঞাপন... শিশুদের দৈহিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন নিমির্ত হয়েছে বিজ্ঞাপনী সংস্থা নিউক্লিয়াস লিমিটেড থেকে। যাদের সাবির্কভাবে সহযোগিতা করছে সেভ দ্য চিলড্রেন ও ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স। গত ২২ অক্টোবর এটির শুটিং করি। আমার অনেক ভালো কাজের মধ্যে এটিও একটি ভালো কাজ। সারাদেশের শিশুদের অভিভাবক, শিক্ষকসহ আরও অন্যদের মধ্যে শিশু স্বাস্থ্য ও মানসিক নিরাপত্তায় সচেতনতা সৃষ্টিতে বিজ্ঞাপনটির শেষ অংশে আমাতে দেখা যাব। যেখানে আমি গুরুত্বপূণর্ একটি সংলাপ বলব। আগামী মাস থেকেই বিজ্ঞাপনটি প্রচারে আসবে। সচেতনতামূলক কাযর্ক্রম... নিজের ভালোলাগা এবং সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এই ধরনের কমর্কাÐে অংশগ্রহণ করি। একজন শিল্পী হিসেবে এই ধরনের সচেতনতামূলক কাজে আমি সবসময়ই বেশ আগ্রহ নিয়েই অংশগ্রহণ করি। আমার কাজের ব্যস্ততা না থাকলে আমি কখনোই এই ধরনের কমর্কাÐে অংশগ্রহণ এড়িয়ে যাই না। কারণ এই দেশ, দেশের মানুষই কিন্তু আমাকে আজকের ফেরদৌসে পরিণত করেছে। তাই একজন শিল্পী হিসেবে আমার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই ধরনের জনসচেতনতামূলক কমর্কাÐে আমি অংশগ্রহণ করি। আমার এই অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে যদি সমাজের, দেশের উপকার হয় এটাও আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া হবে বলে আমি মনে করি।