সাক্ষাৎকার

জীবনভর চলচ্চিত্রের স্বাথের্ই কাজ করে যাব

দেশীয় চলচ্চিত্রে গত কয়েক বছর ধরে একাই রাজত্ব করে আসছেন শাকিব খান। চাহিদা ও পারিশ্রমিকের দিক থেকেও অন্য নায়কদের থেকে অনেক দূর এগিয়ে তিনি। তার যে ছবিটিই মুক্তি পাচ্ছে, সেটিই সুপারহিট ব্যবসা করছে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘নাকাব’ ছবিটিতেও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গেÑ

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শাকিব খান
বতর্মানে... অনেক অসুস্থতার মধ্য দিয়েও শুটিং করতে হচ্ছে। গত ২৭ অক্টোবর থেকে এফডিসিতে শামীম আহমেদ রনী’র ‘শাহেনশাহ’ ছবির ফাইট অংশের শুটিং করছি। এর আগে শাহিন সুমনের ‘একটু প্রেম দরকার’ প্রথম লটের শুটিংও শেষ করেছি। আবার আগামী মাসে কলকাতার দুটি বড় প্রডাকশনের কাজে দেশের বাইরে যেতে হতে পারে। সব মিলিয়ে শরীরের উপর খুব ধকল যাচ্ছে। কিন্তু কাজ না করেও উপায় নেই। চলচ্চিত্রের চলমান অবস্থা... নোংরা রাজনীতির কারণে আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্র অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। অনেকেই যারা চলচ্চিত্রে লগ্নি করতে আসার আগ্রহী, তারাও এই নোংরা পরিস্থিতির জন্য ভয়ে আর আসছে না। কিছু পরিস্থিতির জন্য বলতে পারছি না। তবে একটা কথাই বলব; কথায় না বড় হয়ে, কাজে বড় হও। পেছনে রাজনীতি না করে মন দিয়ে আগে সামনে কাজ করতে হবে। নতুনদের আরও কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। আর ছোট ছোট সমস্যাগুলোরও সমাধান করতে হবে। তাহলে আশা করা যায়, খুব শিগগিরই চলচ্চিত্র অঙ্গনে সুদিন আসবে। পারিশ্রমিক প্রসঙ্গ... একটি চলচ্চিত্র নিমাের্ণর শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত কিন্তু কাজটি প্লানিং করেই করতে হয়। সেখানে বাজেটের দিকটাই বেশি প্রাধান্য। বাজেট বেশি হলে চলচ্চিত্র গুণগত মানটা আরও ভালো হওয়াটাই স্বাভাবিক। দেশে অল্প বাজেটের ছবি কিন্তু তেমন আর চলছে না। এখন সবার হাতে হাতে প্রযুক্তি চলে এসেছে। বাজেট যত বেশি হবে মান ততো বাড়বে। তবে আমি মনে করি ভালো গল্পের কাজে পারিশ্রমিক কোনো বিষয় নয়। ভালো কাজে পারিশ্রমিক নিয়ে আলোচনা আর সমালোচনায় কী আর যায় আসে। যৌথ প্রযোজনা নিয়ে... আর প্রযোজনা! প্রতিটি ধাপে ধাপে যে পরিমাণ যুদ্ধ বিরাজ করছে সেখানে যৌথ প্রযোজনার প্রযোজকরা তো ভয়েই শেষ। একজন প্রযোজক যদি অথর্লগ্নি করে অথর্ ফেরত নাই পায়, তবে সে কেন অথর্লগ্নি করবে? আমাদের চলচ্চিত্রে নোংরা পলিটিক্স ঢুকে পড়েছে। তবে এটা কাটতে অবশ্য কিছুটা সময় লাগবে। আমি আমার ভক্তদের বলব শাকিব খানের ছবি মানেই একেকটি উৎসব। আমার ছবি মুক্তি পেতে কোনো উৎসবের প্রয়োজন হয়নি আর হবেও না। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা... নানা বাধার সম্মুখীন হওয়ায় তো শুরুই করতে পারলাম না। এখনই ভবিষ্যৎ নিয়ে টানাটানি শুরু। ছবি নিয়েই আছি, ভবিষ্যতেও ছবি নিয়েই থাকব। তবে যতদিন বঁাচব, ততদিন চলচ্চিত্রের স্বাথের্ই কাজ করব। কোন বাধাই আমাকে আটকাতে পারবেন না। তবে সামনে আরও ভালো ভালো মৌলিক গল্পের কাজ বেশি করতে হবে। দশর্কদের উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলব। সবাইকে হলে গিয়ে ছবি বেশি বেশি দেখতে হবে।