সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে শিল্পীসমাজ

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

বিনোদন রিপোটর্
বিদেশি সিরিয়ালের নেতিবাচক প্রভাবে টালমাটাল বাংলাদেশের সমাজ-সংস্কৃতি। শিল্পী, কলাকুশলীসহ হাজারো মানুষ বেকায়দায় পড়েছে ভিনদেশি এ সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে। সাধারণ মানুষের মনে বিরাজ করছে এক ধরনের ক্ষোভ। এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টির পাশাপাশি আরও কঠোর নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে দেশের শিল্পীসমাজ। অভিনেতা ও নাট্য নিদের্শক মামুনুর রশীদ বলেন, ভারতীয় সিরিয়াল বাংলাদেশে চলা নিয়ে সরকার একটি কমিটি করেছিল। সেই কমিটিতে আমিও ছিলাম। সেখানে বলেছি, এসব সিরিয়াল নিয়ন্ত্রিতভাবে চালানো উচিত। সেই প্রস্তাবনা দেড় বছর ধরে তথ্যমন্ত্রীর টেবিলে পড়ে আছে। সিরিয়ালের আগ্রাসনে বাংলাদেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে সামাজিক সংকট। নাট্যকার এজাজ মুন্না বলেন, ভারতীয় সিরিয়াল নিয়ে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে এসব বিষয় থেকে আমরা যেন বেরিয়ে আসতে পারি। বিষয়টি সরকারিভাবে আলোচনার পযাের্য় আছে। সব নাট্য সংগঠন মিলে তথ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দেয়া হয়েছে। এসব আলোচনা হলে আমরা বুঝতে পারব, পরবতীর্ সময়ে কী হবে। সিদ্ধান্ত হওয়ার আগ পযর্ন্ত কোনো মন্তব্য করাটা বোধহয় সমীচীন হবে না। তবে নাট্যকার পরিচয়ের বাইরে এসে ব্যক্তি মানুষ হিসেবে বলতে পারি, সমান সমান বিনিময় প্রথা থাকা উচিত। যদি ভারতীয় সিরিয়াল এই দেশে চলে তাহলে বাংলাদেশের সিরিয়ালও ভারতে চালাতে হবে। সমতার ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। নাট্যকার ও অভিনেতা বৃন্দাবন দাস বলেন, এ নিয়ে বহুবার বলেছি, বহু কথা হয়েছেÑ মন্তব্য করে ফল তো হয়নি! এটা এখন কারা, কীভাবে চালায়, কোন নীতিমালায় চালায়, বাংলাদেশে যে যেভাবে মন চাইছে করছে! অবশ্যই এটা দেশের সংস্কৃতির জন্য কতটা শুভকর সেটা মানুষ বলবে। ভালো কিছু হলে চালালে আপত্তি নেই। এটা সমাজের জন্য মঙ্গল, দেশের জন্য মঙ্গল। এভাবে চালানোটা আমাদের সংস্কৃতির জন্য খুব একটা লাভজনক কিছু নয়। এটার নীতিমালা হওয়া উচিত অবশ্যই।