তিনি বলিউডের 'ড্রিমগার্ল'খ্যাত নায়িকা। বিখ্যাত ছবি 'শোলে'র বাসন্তী! শুধু রূপালি পর্দাতেই নয়, ক্যামেরার পেছনে পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েও হেমা মালিনী নিজেকে অন্যভাবে তুলে ধরেছেন। এরপরই সোজা রাজনীতির আঙিনায়। সেখানেও তিনি উজ্জ্বল। আজ তিনি চুয়াত্তরে পা রাখলেন। ১৯৪৮ সালের এ দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তবে জন্মদিনকে ঘিরে আহামরি কোনো আয়োজন রাখছেন না এ তারকা। ১৯৭০ সালে 'তুম হাসিন ম্যায় জাওয়ান' ছবির মধ্য দিয়ে প্রথমবার জুটিবদ্ধ হন ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী। এরপর তাদের একসঙ্গে দেখা গেছে অসংখ্য ছবিতে। সে সূত্রে প্রেমও হয়ে যায় তাদের; কিন্তু হেমার পরিবার কিছুতেই সে সম্পর্ক মেনে নেয় না। ওদিকে ধর্মেন্দ্রর সংসার আছে। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে ১৯৭৯ সালে বিয়ে করেন তারা। শোনা যায়, দু'জনই বিয়ের আগে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। অভিনয়ে সফল হলেও নাচই তার জীবনের মূলমন্ত্র। ভারতীয় সব ধরনের নাচে দক্ষ হেমার পশ্চিমা ঘরানার কিছু নাচও জানা আছে। রাজ কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধে 'স্বপ্নকা সওদাগর' ছবিতে অভিনয়ের পর সবাই হেমাকে হিন্দি চলচ্চিত্র শিল্পের 'ড্রিমগার্ল' বা 'স্বপ্নের তরুণী' নামে অভিহিত করেন। মুক্তির পর চলচ্চিত্রটি ব্যাপক সাড়া ফেলে। বাণিজ্যিকভাবে হেমা মালিনীর সাফল্য আসে আশি ও নব্বইয়ের দশকে। এ সময়ে তার অভিনীত 'ক্রান্তি', 'নসীব', 'সত্তে পে সত্তা', 'এক নাহি পেহেলি', 'রামকালি', 'সীতাপুর কি গীতা', 'জামাই রাজা', 'আলিবাবা অউর ৪০ চোর', 'সম্রাট', 'আন্ধা কানুন', 'দরদ', 'কুদরত', 'হাম দোনো', 'রাজপুত', 'বাবু', 'দুর্গা'সহ বহু ছবি সুপারহিট হয়।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd