সাক্ষাৎকার

এখনকার নিমার্তারা শিল্পের মূল্য দিতে জানেন না

মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। একাধারে তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক ও অভিনেতা। তিন ক্ষেত্রেই সমানভাবে সফল তিনি। চলচ্চিত্রে অভিনয় কমিয়ে দিয়ে বতর্মানে ছোটপদার্য় টুকটাক কাজ করছেন। কথা হলো তার সঙ্গে

প্রকাশ | ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা
চলমান সময়... অলস সময়ই পার করছি বলা চলে। শারীরিক অসুস্থতা মাঝে মাঝেই আমাকে স্থবির করে দেয়। যতটুকু অবসর পাই, ততটুকুই কাজ করি। বতর্মানে এনটিভির ‘মায়া মসনদ’ নামের দীঘর্ ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি। নাটকটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করছেন আতিকুর রহমান বেলাল। আর পবর্ পরিচালনায় আছেন আমার কাছের খুব ছোট ভাই মাকসুদুল হক ইমু। ব্যাটে-বলে মিলে গেলে কাজ করতে ভালো লাগে। অন্যথায় আমি কাজ করতে মোটেও আগ্রহী নই। এর চেয়ে পরিবারকে সময় দিতে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ছোট পদার্ বনাম বড় পদার্... আমার কাছে কোনো পাথর্ক্য মনে হয় না। দুটি মাধ্যমই বড় প্লাটফমর্। আমার কাছে গল্প ও চরিত্রটাই মুখ্য বিষয়। তাই বড়পদার্ ও ছোটপদার্র মধ্যে খুব একটা পাথর্ক্য খঁুজি না। খুঁজতে চাইও না। তবে বড় পদার্র মানুষ হিসেবে নিজেকে ভাবতে ভালো লাগে। চলচ্চিত্রের প্রতি একটা মায়া চলে এসেছে। তাই তো এখনও কাকরাইলে আমার প্রযোজনা সংস্থায় নিয়মিত গিয়ে বসি। অলস সময় কাটাই। চলচ্চিত্র নিমার্ণ প্রসঙ্গে... ভালো গল্প পেলে প্রযোজনা করব। দুই বছর আগের তিনটি গল্প প্রস্তুত করা আছে। মনের মতো নায়ক-নায়িকা ও সংগীত পরিচালক ও টেকনিশিয়ান পেলেই কাজগুলো একে একে শুরু করব। সম্প্রতি একটি কাজ শুরু করার কথা ভেবেছিলাম। মনের মতো সব হয়নি বলে বিষয়টি আপাতত স্থগিত রেখেছি। চলমান পরিবেশ... বতর্মান সময়ে চলচ্চিত্রের হালচাল মোটেও সন্তোষজনক নয়। এর মূল কারণ নতুন নতুন আনকোড়া পরিচালক। কারণ এরা একজন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করে কদিন যেতে না যেতেই নিজেই পরিচালনা শুরু করে। আমি এই ধরনের পরিচালকদের নরসুন্দরের সঙ্গে তুলনা করি। এখানেই শেষ নয়, একটি পূণার্ঙ্গ চলচ্চিত্র নিমার্ণ করতে গেলে একটা ভালো গান রেকডির্ং করতে হয়, কিন্তু সেখানে দেখা যায় একটি সংগীত পরিচালককে বেশি টাকা দিয়ে সেই কাজটি নিজেই সেরে ফেলছে। বাঘা বাঘা অভিনয়শিল্পীদের বেশি টাকা দিয়ে তাদের সিডিউল নিচ্ছে। আর বাকিটা চিত্রগ্রাহক দিয়েই কাজ সেরে ফেলেছে। শিল্পীদের সম্মান... এখনকার প্রযোজকরা টাকার গরমে অভিনয়শিল্পীদের সম্মান করেন না। কারণ তারা শিল্পের মূল্য দিতে জানেন না। তবে ওইসব প্রযোজকের উদ্দেশে বলতে চাই শিল্পকে অসম্মান করে তার নিজেরাই ছোট হচ্ছেন। কারণ অসৎ উপায়ে অজির্ত টাকা দিয়ে প্রযোজক হওয়া যায়। কিন্তু অসৎ উপায়ে শিল্পী হওয়া যায় না। একজন শিল্পীকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবেই শিল্পী হতে হয়। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির খাতায়... একজন শিল্পীর বড় প্রাপ্তি হলো দশের্কর ভালোবাসা। চলচ্চিত্র দিয়েই তো একজন সোহেল রানাকে সবাই চেনে। আর সবচেয়ে অপ্রাপ্তি হলো আমি জীবনে একটি গান গাইতে পারিনি। এটাকে ব্যথর্তাও বলা চলে।