সা ক্ষা ৎ কা র

কেউ আর টিভিতে নাটক দেখবে না

টেলিভিশন মিডিয়ার পরিচিত মুখ ‘আ খ ম হাসান’। কেবল কমেডি নাটকেই নয়, তবে সিরিয়াস নাটকেও দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। টিভি নাটকে হরহামেশা দেখা গেলেও মঞ্চেও কিন্তু তিনি অনিয়মিত নন। সব বিষয়েই কথা হলো তার সঙ্গেÑ

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আ খ ম হাসান
বতর্মানে একক নাটক করছি... দশের্কর ভালোবাসায় বেশ ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করছি। যদিও ইতিমধ্যে শিডিউলজনিত ঝামেলা আমাকে বেশি পোহাতে হচ্ছে। তার পরও শিডিউল মাফিক কাজ জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। ইদানীং কয়েকটি একক নাটকের শুটিং করছি। এ মাসের শেষের দিকে চলতি ধারাবাহিকগুলোর কাজ ধরব। শিডিউল ঝামেলা তো থাকবেই... শিডিউল নিয়ে জটিলতা নতুন কিছু না। শোবিজের শুরু থেকেই এর চল শুরু হয়েছে। সবাই তো আমরা ভাই ভাই। একটু ছাড় দিয়েই শিডিউল মিলাতে হয়। আমরা পেশাদার শিল্পীরা কখনোই চাই না, কোনো লগ্নিকারক বিপদে পড়–ক। কিন্তু মুশকিল হয়, কাছের মানুষগুলো যখন জোর করেন। বিদেশি নাটকের বিরুদ্ধে বলব না... কথায় বলে, বাড়ির কাছের মানুষ নাকি ট্রেন ফেল করে। সেটা যার যার ব্যক্তিগত চিন্তাধারণা। আবার দেখা যায়, নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের দুবর্লতা সব সময়ই বেশি। আমার পরিবার এমনকি কাজের মেয়েও সব সময় কলকাতার নাটক দেখে। একটা পরিবারে অনেক ঘটনা ঘটে। এখান থেকে দশর্ক তৃপ্তি খেঁাজে। আমি এটার বিরুদ্ধে বলতে চাই না। তবে আমি এটুকু বলতে চাই, আমাদের নাটক তাদের তুলনায় অনেক বেশি মানসম্পন্ন। বিজ্ঞাপনে পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে শিল্প... বিজ্ঞাপনের নিচে পিষ্ট আমাদের নাটক বা শিল্প। আমি কয়েক দিন আগে আমাদের একটি নাটক দেখছিলাম, বিরক্ত হয়ে উঠে গেছি। একজন মানুষ যখন টিভিতে একটা গল্প দেখে, সে জানে ওটা সত্য নয়। এরপরও সে দেখছে, হাসছে, কঁাদছে; সত্য নয় জেনেও সে এই কাজটি করছে। গল্পের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে সে। কিন্তু দুই মিনিট পরপর বিজ্ঞাপন দিলে এই অনুভ‚তি বাধাগ্রস্ত হয়। সে আর গল্পে ঢুকতে পারে না। এভাবে চলতে থাকলে একসময় আর আমাদের টিভি কেউ দেখবে না। ইউটিউবে নাটকের জনপ্রিয়তা চলে এসেছে, সামনে কেউ আর টিভিতে নাটক দেখবে না।