জন্মদিনে সবার জন্য সারপ্রাইজ থাকবে

টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেতা ডি এ তায়েব। গত বছর ‘সোনা বন্ধু’ শীষর্ক ছবি দিয়ে বেশ আলোচনায় আসেন তিনি। নতুনভাবে আবারও শুরু করছেন ‘মা মাটি’, ‘জঙ্গী’ ও ‘মা’ নামের তিনটি ছবি। আজ তার জন্মদিন। সব বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গেÑ

প্রকাশ | ১৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ডি এ তায়েব
এবারের জন্মদিনে... প্রতিবার মিডিয়া ও পরিবার নিয়ে ছোট করে জন্মদিনের আয়োজন করি। তবে এবারের জন্মদিনটা হবে একটু ভিন্ন স্বাদের। সবাইকে সারপ্রাইজ দিতে চাই। ‘মা মাটি’, ‘জঙ্গী’ ও ‘মা’ নামের তিনটি ছবির মহরতের আয়োজন করেছি। আরও একটি সারপ্রাইজ অনুষ্ঠানেই প্রকাশ করব। সারা দিন বন্ধু মহল, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় দেব। মানুষের কল্যাণে যেন নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখতে পারি। যতদিন বঁাচব বাকি দিনগুলোতেও সৎজীবন যাপনে থাকার চেষ্টা করব। বড়পদার্ ও ছোট পদার্... আমার কাছে ছোটপদার্ আর বড় পদার্র কাজের বিষয়গুলো ভিন্নভাবে দেখি না। আর এই কাজগুলো করা আমার দ্বারাই সম্ভব। কারণ আমি সব কাজেই মনোযোগী আর সময়ের সঙ্গে করতে পছন্দ করি। তবে বড় পদার্র পাশাপাশি ছোটপদার্র কাজগুলো আগেভাগেই করে শেষ করেছি। আগামী মাস থেকে টানা বড় পদার্র কাজগুলো শেষ করব। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি ... অপ্রাপ্তির কিছু নেই। না চাইতেই অনেক বেশি পেয়েছি। তবে অন্যরকম একটা প্রাপ্তি হচ্ছে, মিডিয়া তথা বিনোদন সাংবাদিকদের ভালোবাসা। শুরু থেকেই আমাকে এবং আমার কাজকে উৎসাহ ও সহযোগিতা করে আসছেন সংবাদকমীর্রা। এ জন্য তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। সবার সহযোগিতায় দশর্কদের ভালোবাসা নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই। চলচ্চিত্রের চলমান পরিবেশ... বতর্মান চলচ্চিত্রের অবস্থা এখন খুবই খারাপ। বেশির ভাগ কলাকুশলীই বেকার বসে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন সুযোগ সন্ধানী। তারা ওঁৎ পেতে বসে থাকে নতুন কোনো লগ্নিকারক পেলে নানানরকম আশ্বাস দিয়ে শুরুতেই পথে বসিয়ে দেয়ার জন্য। এভাবে একটা ইন্ড্রাস্ট্রি চলতে পারে না। চলচ্চিত্রের মূল সমস্যা... আমার কাছে মনে হয় কোনো সরকার বিরোধী লোক এফডিসিতে আছেন তা না হলে বঙ্গবন্ধুর আদশের্ গড়া একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের এভাবে ক্ষতি কেউ চাইত না। সরকার ইতিমধ্যে আমাকে ও আমার সংগঠনের জন্য প্রায় ৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই সাংস্কৃতিকমনা। সে আমাদের এই অঙ্গনকে অনেক বেশি ভালোবাসেন। কিছু লোকের জন্য এই অঙ্গনটা একেবারেই ধ্বংসের পথে। অন্যদিকে কয়েকশ সংগঠন তো আছেই। আসলে তাদের কাজটা কি? আমার অভিনীত ‘অন্ধকার জগত’ ছবি নিমার্ণ করতে গিয়ে খুব বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক। অদূর ভবিষ্যৎ... বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি মনে করি, পরিকল্পনা করে কোনো কাজ করতে পারে না শিল্পীরা। শিল্পীরা সাধারণত আবেগী ও খেয়ালি হয়। যখন যেটা ভালো লাগে সেটা করতে আনন্দবোধ করে। আমার স্বভাবটাও তেমনই। যে কাজ করতে ভালো লাগে না সেটা কখনো করি না। কখনো নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধেও যাই না। একটাই চাওয়া আমৃত্যু অভিনয় করে যেতে চাই।